ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

গ্রন্থাগারের ফটোকপি মেশিন নষ্ট ৫ বছর!

আজাহারুল ইসলাম, ইবি 

প্রকাশিত: ১৪:৪৮, ১৬ মার্চ ২০২৪

গ্রন্থাগারের ফটোকপি মেশিন নষ্ট ৫ বছর!

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ফটোকপি মেশিন নষ্ট প্রায় ৫ বছর ধরে। অভিজ্ঞ লোক না থাকার কারণে সেটি বারবার বিকল হয়। এ পর্যন্ত কয়েকবার মেরামত করলেও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এ কারণে গ্রন্থাগারের বিভিন্ন নথি বাইরের ফটোকপির দোকান থেকে ফটোকপি করা হয়। এতে করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি ফাঁসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

এদিকে সেই ফটোকপি মেশিন থেকে শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারে থাকা বই বা বইয়ের অংশ এক টাকা প্রতি পৃষ্ঠা হিসেবে ফটোকপি করতে পারতো। সেই সেবা থেকেও পুরোপুরি বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও যথাযথ তত্ত্বাবধানের অভাবকেই দায়ী করছেন তারা। এদিকে মেশিন নষ্ট থাকলেও নতুন মেশিন কেনার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত উদ্দ্যোগ নেয়নি গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ।

গ্রন্থাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে গ্রন্থাগারের ফটোকপি মেশিনটি নষ্ট হয়। তাই বিভিন্ন নথিপত্র বাইরের দোকান থেকে ফটোকপি করা হয়। এতে গুরুত্বপূর্ণ নথি ফাঁসের শঙ্কা দেখা যায়। এছাড়া গ্রন্থাগার থেকে শিক্ষার্থীরা পৃষ্ঠা প্রতি এক টাকায় ফটোকপি করতে পারতো। সেই সেবাটি পুরোপুরিই বন্ধ। 

ফলে দুই গুণের বেশি টাকায় বাইরে থেকে ফটোকপি করতে হয় শিক্ষার্থীদের। আর গ্রন্থাগারের ভেতরের বই বাইরে নিয়ে যেতে দেওয়া হয় না। দায়িত্বরতরা শিক্ষার্থীদের মোবাইলে ছবি তুলে নিতে বলেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দায়িত্বরতদের বাকবিতণ্ডা হয় বলে জানা গেছে।

আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সৈকত দাস বলেন, অনেক বই সব জায়গায় পাওয়া যায় না। বইয়ের যে দাম এত বই কেনাও অসম্ভব। তাই লাইব্রেরিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় বই পড়ি। বই থেকে বিভিন্ন অংশ ফটোকপি করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু মেশিন নষ্ট থাকার কারণে ফটোকপি নিতে পারি না। বই বাইরে নিয়ে যেতে চাইলে অনুমোদন দেওয়া হয় না। মোবাইলে ছবি তুলতে বলে।

গ্রন্থাগার সংলগ্ন এক ফটোকপি দোকানদার বলেন, এই মেশিনগুলো বর্তমানে ৩০-৩৫ হাজার টাকার মত দাম পড়বে। মেশিনটা অনেকদিন ধরেই নষ্ট। সেখানে মেশিন চালানোর মত অপারেটর নেই। আমার দোকান থেকে বিভিন্ন কাগজপত্র ফটোকপি করে।

তদারকির দায়িত্বে থাকা উপ-গ্রন্থাগারিক গোলাম কবির বলেন, মেশিনটা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে নষ্ট। মেশিন চালানোর মতো অভিজ্ঞ কেউ নেই।

ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক শাহনাজ বেগম বলেন, মেশিনটা কয়েকবার সারানোর পরেও একই অবস্থা। নতুন একটি মেশিন নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। পরবর্তী সভায় আমরা বিষয়টি আলোচনা করবো। কিছু ডকুমেন্টস বাইরে থেকে ফটোকপি করা হয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ফটোকপি করার মতো ছোটখাটো একটা মেশিন আছে। যারা একটু অভিজ্ঞ ছিল তাদের অন্য দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
 

 এসআর

×