ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যাপসিকাম চাষে সফল কৃষক মনজুর

প্রকাশিত: ০৯:০৫, ৯ এপ্রিল ২০২০

ক্যাপসিকাম চাষে সফল কৃষক মনজুর

সাজেদ রহমান, যশোর অফিস ॥ শেডের ভেতর ঢুকলে মনে হবে ক্ষেতে রয়েছে কাঁচা-পাকা নানা রঙের টমেটো। কিন্তু একটু খেয়াল করে দেখলে বোঝা যাবে, এটা টমেটো নয় ক্যাপসিকাম। ক্ষেতে রয়েছে লাল, হলুদ আর সবুজ রঙের ক্যাপসিকাম। যশোরে প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এই ক্যাপসিকাম চাষ করে সফলতা পেয়েছেন ঝিকরগাছার পটুয়াপাড়া গ্রামের কৃষক মনজুর আলম। প্রতিদিন অনেক মানুষ তার ক্যাপসিকাম ক্ষেত দেখতে আসছেন। মনজুর আলম জানান, বিএডিসি তার শেড করে দিয়েছেন। সেই শেডে এক বিঘা জমিতে তিনি এবার ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। একটি অংশে গত আগস্টে রোপণ করেন ক্যাপসিকামের চারা। গত জানুয়ারি মাস থেকে পুরোদমে তিনি ক্যাপসিকাম তুলছেন। প্রথমে প্রতি কেজি ৩/৪শ’ টাকা করে বিক্রি করেছেন। এখন তিনি ক্ষেত থেকে বিক্রি করছেন প্রতি কেজি লাল ও হলুদ রঙের ক্যামসিকাম ২১০ টাকা। আর সবুজটা বিক্রি করছেন ১৮০ টাকা করে। নতুন সবজি জাতীয় এই ক্যাপসিকাম অনেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। মনজুর আলম জানান, তিনি ক্ষেতকে দ্ইু ভাগে ভাগ করে একভাগে আগস্টে ক্যাপসিকাম লাগিয়েছিলেন। সেটা প্রায় উঠে গেছে। এই মাসেই ক্ষেত পরিষ্কার করে সেখানে অন্য ফসল লাগাবেন। পরে আরেক অংশে লাগিয়েছেন ক্যাপসিকাম। সেটা উঠা শুরু হয়েছে। এটা আগামী দুই মাস পর্যন্ত পাওয়া যাবে। এরপর লাগাবেন গ্রীষ্মকালীন টমেটো। মনজুর আলম জানান, ইতোমধ্যে তিনি দেড় লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন। ক্ষেতে এখনও দেড় লাখ টাকার ক্যাপসিকাম আছে। যশোর বিএডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম জানান, শীত কিম্বা গ্রীষ্ম নয়। তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে বারো মাসই সব ধরনের সবজি ও ফুল উৎপাদন সম্ভব। একইসঙ্গে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার এবং পানি ও সারের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন সম্ভব। ইতোমধ্যে যশোরে এ পাইলট প্রকল্পের সফলতার পর তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন এ প্রযুক্তিতে খরচ কমিয়ে প্রায় দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছেন। ২০১৫ সালে পলি হাউস ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করেন বিএডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম। পরের বছর প্রকল্প আকারে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে ২০১৮ সালে যশোরের ৬টি পয়েন্টে শুরু হয় পাইলট প্রকল্পের কাজ। এই পাইলট প্রকল্পের আওতায় পটুয়াপাড়ার মনজুর আলমকে সহযোগিতা করা হয়েছে। তাকে একটি শেড তৈরি করে দেয়া হয়েছে। ওই শেডটি চলবে ২০ বছর।
×