ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

কমলাপুর আইসিডিগামী কন্টেনারের তীব্র জট

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ২৯ আগস্ট ২০১৯

কমলাপুর আইসিডিগামী কন্টেনারের তীব্র জট

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চট্টগ্রাম বন্দরে কমলাপুর আইসিডিগামী কন্টেনারের তীব্র জট তৈরি হয়েছে। রেলওয়ের ইঞ্জিন ও ওয়াগন স্বল্পতার কারণে এই জট সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি বন্দর কর্তৃপক্ষের। একটি আমদানি পণ্যবাহী কন্টেনার ঢাকায় আসতে লাগছে এক থেকে দেড় মাস। ফলে বন্দরের গুদাম ভাড়া বাবদ বিপুল অঙ্কের জরিমানা দিতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। এই সুযোগে আগে কন্টেনার পরিবহনের সিরিয়াল পেতে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পোট ইয়ার্ডের অসাধু কর্মচারীরা। যদিও কন্টেনার পরিবহনকে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে দাবি রেলওয়ের। ঘূর্ণিঝড় ফণির আঘাত ও এরপর ঈদ-উল ফিতরের ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দরে কমলাপুর আইসিডিগামী কন্টেনারের জট তৈরি হয়। জট নিরসনে গেল জুলাই মাসে সবোর্চ্চ ৮২টি ট্রেন পরিচালনা করে রেলওয়ে। এতে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ঈদ-উল আজহার ছুটির পর আবারও সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক জট। প্রতিদিন ১৩০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ টিইইউএস আমদানি পণ্যবাহী কন্টেনার পরিবহন করছে রেলওয়ে। এ অবস্থায় যথাসময়ে পণ্য ডেলিভারি নিতে না পারায় বিপুল অঙ্কের মাশুল গুনতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। ঢাকা কাস্টম এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্ডারহ্যান্ড মানি মূলত আয় করার জন্যই কৃত্রিম সঙ্কট আছে। এক্সপোটার্স এ্যাসোসিয়েশন প্রথম সহসভাপতি মোঃ হাতেম বলেন, অতিরিক্ত ১ হাজার ডলার করে আমাদের শিপিং এজেন্টকে চার্জ দিতে হয়। এ অবস্থায় জট কমাতে বন্দর কর্তৃপক্ষ নৌপথে পানগাঁও দিয়ে আইসিডিগামী কন্টেনার খালাসের অনুমতি দিলেও অতিরিক্ত খরচ ও জটিলতার কারণে তা কোন কাজে আসছে না। কন্টেনার পরিবহনের সিরিয়াল নিয়ে কোন অনিয়ম হচ্ছে না দাবি করে জট নিরসনে রেলওয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে ক্রাশ প্রোগ্রাম নেয়ার কথা জানান বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব। নতুন ইঞ্জিন ও রেক না বাড়ানো পর্যন্ত ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তা। রেলওয়ে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, একটা ক্র্যাশ প্রোগ্রাম করতে চাচ্ছি, কেউ যদি ডেসটিনেশন চেঞ্জ করে চিটাগাং থেকে নিতে চায় সেটাও আমরা বিবেচনায় নিচ্ছি। ৯০ হাজার টিইইউএস কন্টেনার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন কমলাপুর আইসিডি গেল অর্থবছরে প্রায় ৮৯ হাজার কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। কিন্তু ৩২ বছরেও কন্টেনার পরিবহনের সক্ষমতা বাড়ায়নি রেলওয়ে।
×