ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় নির্বাচনে সব শ্রেণীর নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের দাবি মহিলা পরিষদের

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ১৬ মে ২০২২

জাতীয় নির্বাচনে সব শ্রেণীর নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের দাবি মহিলা পরিষদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংখ্যালঘু, আদিবাসী, প্রান্তিক গোষ্ঠীর নারীসহ সকল জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপক্ষে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এ লক্ষ্যে সোমবার পরিষদের ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষ দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। ৭ সদস্যের মধ্যে এসময় ছিলেন, কেন্দ্রী কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, সহ-সভাপতি, ডা. মাখদুমা নার্গিস, সহ-সভাপতি রেখা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম এবং অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক জনা গোস্বামী। স্মারকলিপিতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রচেষ্টা গ্রহণের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণায় নারী প্রার্থীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা। শুধু তাই নয় প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয়ের ক্ষেত্র মনিটরিং এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে প্রান্তিক নারীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যে কোনো ধরণের সহিংসতা প্রতিরোধ করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিসহ আরো কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। নির্বাচন কমিশনকে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, নির্বাচনে যাতে অধিক সংখ্যক নারী অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচনী প্রচারণায় নারী প্রার্থীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে, রাজনৈতিক দলগুলো থেকে যাতে অধিক সংখ্যক নারীদের মনোনয়ন দেয়া হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখতে হবে। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে উৎসাহিত করতে হবে এবং জনপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ২০০৮ এর বাস্তবায়নের অগ্রগতি মনিটরিং করতে হবে, নির্বাচনে সাধারণ, সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক নারীরা যাতে অবাধে নিজের মতামতের ভিত্তিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, ভোটকেন্দ্রে বুথের সংখ্যা অধিক করতে হবে এবং ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ নারী বান্ধব করতে হবে, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যাতে নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারেন সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে প্রার্থীদের উৎসাহিত করতে হবে এবং লংঘনকারীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, কালো টাকা ও পেশী শক্তির প্রভাবমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে, নির্বাচনী প্রচরণায় ধর্মকে যাতে কোনভাবেই ব্যবহার করা না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে, প্রার্থীদের দাখিলকৃত তথ্যাদি নিরপেক্ষভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, নারী উন্নয়ন বিরোধী, সাম্প্রদায়িক, সন্ত্রাসী ও সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত, মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত, দূর্নীতিবাজ প্রার্থী যাতে কোনভাবেই মনোনয়ন না পায় সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, নারী নির্যাতনকারী ও নারীর মানবাধিকার লংঘনকারী ব্যক্তিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করাসহ মোট ১৭টি দাবি তুলে ধরা হয়। এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিনিধিদলকে আশ^স্ত করেন সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কমিটিগুলোতে ৩৩% নারী অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি তিনি দেখবেন। এছাড়া নির্বাচন পূর্ববর্তী কালীন ও পরবর্তী সময়ে প্রান্তিক নারীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর সংঘটিত সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন। এই আলোচনাকালীন সময়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
×