ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

সাতক্ষীরা মুক্ত হয় আজ

প্রকাশিত: ২৩:৫৪, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

সাতক্ষীরা মুক্ত হয় আজ

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সাতক্ষীরার দামাল ছেলেরা থ্রি নট থ্রি রাইফেল আর এসএলআরের ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে সাতক্ষীরা শহরে প্রবেশ করে। ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা। শত্রুর বুলেটের আঘাত সহ্য করে সাতক্ষীরার সস্তানরা এই অঞ্চলে অন্তত ৫০টি যুদ্ধের মোকাবেলা করেছিলেন ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ৯নং সেক্টরের মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সুন্দরবন সীমান্ত অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের দক্ষতাপূর্ণ গেরিলা এবং সম্মুখযুদ্ধের ফলে সুন্দরবনসহ উপকূলীয় শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, দেবহাটা, ভোমরা অঞ্চল ১৯৭১’র ২৩ নবেম্বরের মধ্যে পাক হানাদার মুক্ত হয়। ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সাতক্ষীরা শহরসহ বৃহৎ অঞ্চল প্রথম পাক হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭১’র নবেম্বর মাসের ১৯ তারিখ থেকে ২৩ তারিখের মধ্যে সুন্দরবন উপকূলীয় শ্যামনগর থেকে ভোমরা বর্ডারসহ বাঁকাল পর্যন্ত পাকহানাদার মুক্ত করে নবম সেক্টরের যোদ্ধাগণ। সাতক্ষীরা শহর মুক্ত করতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রবল পরাক্রমে চারদিক থেকে সাতক্ষীরা শহরে গেরিলা হামলা চালায় এবং রাস্তায় ট্যাংক বিধ্বংসী মাইন পেতে পাকসেনাদের খতম ও বিভ্রান্ত করে তোলে। ফলে ভারতীয় মিত্র সেনাবাহিনী বাংলাদেশে ঢোকার পূর্বেই মুক্তিযোদ্ধাগণের পরাক্রমের মুখে সাতক্ষীরা শহর পাকহানাদার মুক্ত হয়। ঝিনাইদহ মুক্ত দিবস পালন নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ ॥ ৬ ডিসেম্বর ছিল ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার দুপুরে শহরের কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল হাই, জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাঈদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা পিএএ, মুক্তিযোদ্ধা দলিল উদ্দিন আহম্মেদ, মনোয়ার হোসেন মালিথা বক্তব্য রাখেন। বীরগঞ্জ মুক্ত দিবস পালন স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে ৬ ডিসেম্বর দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়। র‌্যালি শেষে বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের পাশে শহীদ মহসীন আলীর কবরে ও তাজমহল মোড়ে শহীদ বুধারু স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন বীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোশারফ হোসেন বাবুল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামাল হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রবীন্দ্র নাথ গোবিন বর্মন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়শা আক্তার বৃষ্টি, সাংবাদিক আবেদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা কালিপদ রায়, মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ফিরোজ আলম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৬ শহীদ পরিবারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, নেত্রকোনায় নির্মাণ হচ্ছে ‘চেতনার বাতিঘর’ নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর নেতৃত্বে সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে অবলম্বন করে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘চেতনার বাতিঘর’ নামের একটি ম্যুরালসহ দৃষ্টিনন্দন চত্বর নির্মাণ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ছাড়াও চত্বরটিতে রয়েছে: মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক টেরাকোটা, স্বাধীনতার ইতিহাস সংবলিত ডিজিটাল তথ্য বোর্ড, প্ল্যাকার্ড, ওয়াকওয়ে, বাগান এবং ফ্রি ওয়াইফাই জোন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে নেয়া হয়েছে এ মহতী উদ্যোগ। জেলা প্রশাসক কাজি আবদুর রহমান জানান, জাতীয় দিবসগুলোতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেত্রকোনা শহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কোন স্থায়ী ম্যুরাল নেই। মোক্তারপাড়া মাঠের মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী প্রতিকৃতি স্থাপন করে প্রতিবছর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। তাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের খালি জায়গায় এ ম্যুরাল ও চত্বর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক কাজি আবদুর রহমান নিজেই প্রকল্পটির পরিকল্পনা প্রণয়ন করছেন। তার নির্দেশনায় ‘নেত্র এ্যাটেলিয়ার’ নামে তিন তরুণ স্থপতির একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটির চূড়ান্ত ডিজাইন করেছে। স্থপতিরা হলেন: রোদসী চক্রবর্তী, ঐতিহ্য গুহ তূর্য এবং নাফিয়া মমতাজ। শেরপুর মুক্ত দিবস আজ নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ আজ ৭ ডিসেম্বর। শেরপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সহায়তায় বাংলার সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধারা শেরপুর অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত করেন। এদিন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার ও মিত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকপ্টারযোগে শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক মাঠে অবতরণ করেন। ওই সময় শেরপুরের মুক্তিকামী ছাত্রজনতা জেনারেল অরোরাকে এক সংবর্ধনা দেন। তিনি সংবর্ধনা সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেরপুরকে হানাদারমুক্ত বলে ঘোষণা দেন। ওই সময় মুক্ত শেরপুরে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এদিকে শেরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণসহ নানা আয়োজন করা হয়েছে। আজ গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৬ ডিসেম্বর ॥ ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস। এ দিনে কোম্পানি কমান্ডার মাহবুব এলাহী রঞ্জুর(বীরপ্রতীক) নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের কালাসোনার চর থেকে বালাসীঘাট হয়ে গাইবান্ধা শহরে প্রবেশ করে। তাদের আগমনের সংবাদ পেয়ে আগের রাতেই গাইবান্ধা শহরের স্টেডিয়ামে অবস্থিত পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা তল্পিতল্পা গুটিয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। মাগুরা হানাদারমুক্ত দিবস আজ নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা ॥ আজ মঙ্গলবার মাগুরা হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মাগুরা মুক্ত হয়। দিবসটি মাগুরাবাসীর কাছে একদিকে আনন্দের অন্যদিকে বেদনার। এই দিনে মাগুরায় উড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছিল। দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচী নেয়া হয়েছে । কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন, আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে আলোচনা সভা, ব্লাক আউট ও মোমবাতি প্রজ¦ালন প্রভৃতি। আজ নালিতাবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস সংবাদদাতা, নালিতাবাড়ী, শেরপুর ॥ ৭ ডিসেম্বর নালিতাবাড়ী উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে নালিতাবাড়ীকে দখল মুক্ত করেন। জানা গেছে, সীমান্তবর্তী পাহাড়ী জনপদ নালিতাবাড়ীতে দুইদিন দুইরাত যুদ্ধের পর মুক্তির এই দিনটি এলাকার মানুষের স্মৃতিতে ভাস্বর হয়ে আছে আজও। দিবসটি পালন উপলক্ষে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান (এনডিসি)। জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ামিন হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি। বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির খান, ওয়াসেল সিদ্দিক, আবুল কালাম ভুইয়া, আবু হুরায়রাহ।
×