ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়নি

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রোভোস্ট ড. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়নি। তবে পুলিশ জিডি করে ড. সেলিমের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেছে। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, ঘটনার পরই নিয়মিত রুটিন ওয়ার্কের আওতায় শিক্ষকের মৃত্যু ও সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পরিস্থিতি অনুযায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মরদেহ উত্তোলন ও ময়নাতদন্তের জন্য ৪ ডিসেম্বর আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। এছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষে বা মৃত শিক্ষকের পরিবার কিংবা অন্য কারও কাছ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ (মামলা) সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত থানায় করা হয়নি। খানজাহান আলী থানার ওসি বলেন, অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক হিসেবে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে কুয়েটের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য বিষয়টি পুলিশের তরফ থেকে (জিডি) সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করা হয়েছে। এই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে খানজাহান আলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) শাহরিয়ার হাসানের ওপর তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। ওসি বলেন, যেহেতু সেলিম হোসেনের মরদেহ দাফন হয়ে গেছে, তাই মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে আদালতের শরণাপন্ন হতে হয়। সে কারণে ওসি তদন্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ময়নাতদন্তের আবেদন করেছেন। অধ্যাপক সেলিমকে কুষ্টিয়াতে দাফন করা হয়েছে। তাই খুলনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রশাসক) আবেদনটি কুষ্টিয়ার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠাবেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান তার লোকজন নিয়ে ৩০ নবেম্বর অধ্যাপক সেলিমের দাফতারিক কক্ষে ঢুকে অশালীন আচরণ ও মানসিক নির্যাতন করেন। তারা রাস্তায় ড. সেলিমের গতি রোধ করে তাকে জেরা করে, হেনস্তা করে। ওইদিন ড. সেলিমকে রাস্তা থেকে জোর করে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িত প্রকৌশল ভবন) যাওয়া হয়, যা সিসি ফুটেজে দেখা যায়। এরা শুধু ওইদিনই নয়, আগে থেকেই তাদের মনোনীত প্রার্থীকে ডাইনিং ম্যানেজার নির্বাচন করার জন্য আগে থেকেই প্রভোস্ট ড. সেলিম হোসেনকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। আর এই অপমান সহ্য করতে না পেরে তিনি মারা যান।
×