ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ২ ॥ বিপাকে পুলিশ

প্রকাশিত: ১৭:৫৩, ৬ ডিসেম্বর ২০২১

শেরপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ২ ॥ বিপাকে পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুরে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২ জনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। এছাড়া ওই ঘটনায় জড়িত আরও ২ জন পলাতক রয়েছে। এদিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং বক্তব্য রেকর্ডের জন্য রাজি না হওয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ। ধর্ষণের স্বপক্ষে কোন সাক্ষীও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে অজ্ঞাত এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শেরপুর সদর উপজেলার নন্দীরবাজার ও মুকসুদপুর এলাকায় ঘোরাফেরা করে আসছিলো। রবিবার রাত ১১টার দিকে ওই নারীকে জোরপূর্বক ধরে মুকসেদপুর এলাকার রাস্তার পাশে খোলা মাঠে নিয়ে যায় চরমুচারিয়া ইউনিয়নের মাঝপাড়ার দুলাল মিয়ার ছেলে হকার ফকির মিয়া, পুরানপাড়ার আলম মিয়া, নন্দীরপাড়ার জুয়েল ফকির ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বরাটিয়ার ফেকা মিয়ার ছেলে আচার বিক্রেতা হামেদ। ওইসময় ওই নারীর ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ফকির মিয়া ও হামেদ আলীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ওই সময় পালিয়ে যায় অন্য দুজন। স্থানীয়রা জানান, কিছু দুর্বৃত্তের কারণে একজন মানসিক ভারসাম্যহীনও নিরাপদে থাকতে পারবে না, এটা হতে পারে না। আটককৃতরা নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। তাই তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। তবে পুলিশের ধারণা, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়তো সম্ভব হয়নি। তাকে ধর্ষণের আগেই তার চিৎকারে জনতা এসে ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ধর্ষণের স্বপক্ষে কেউ পুলিশকে সাক্ষীও দিচ্ছে না। ধর্ষণের কোনো আলামতও পাচ্ছে না পুলিশ। এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ জানান, এ ঘটনার ভিকটিম মানসিক ভারসাম্যহীন। এরপরও তদন্তের স্বার্থে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তাকে পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। কারণ সে যাকে সামনে পাচ্ছে তাকেই মারধোর করছে। সকলেই আমরা বিপাকে। ভিকটিমের নামপরিচয় শনাক্তের জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
×