স্টাফ রিপোর্টার ॥ মোটরসাইকেল, পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর ও বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতিসহ ৪৩ ধরনের মালামাল বিক্রি হয়েছে মাত্র ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকায়। বাস্তবে যার দাম কয়েকগুণ বেশি। গোপনে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে এসব জিনিসপত্র। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসে ঘটে যাওয়া এমন অনিয়মের তদন্ত করছে দুদক। রবিবার দুদকের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে এই অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদেক জানান, বর্তমানে অনুসন্ধান প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। শীঘ্রই দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি।
আরিফ সাদেক জানান, বাকেরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে উপজেলা কৃষি অফিসের পুরাতন মালামাল টেন্ডার ব্যতিরেকে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম।
তিনি জানান, দুদক টিম সরেজমিনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় পরিদর্শন করে এবং অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাসহ অন্যদের বক্তব্য গ্রহণ করে। টিম অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নথির কপি সংগ্রহ করে। তথ্যাদি যাচাইকালে বেশকিছু ক্ষেত্রে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়। অভিযান থেকে পাওয়া ও সরবরাহ করা সব তথ্য-প্রমাণ যাচাই করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে। এরপরই আইনী ব্যবস্থায় যাবে দুদক।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: