ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনার রূপসায় মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেফতার ১০

প্রকাশিত: ১৯:০৩, ৮ আগস্ট ২০২১

খুলনার রূপসায় মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেফতার ১০

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির এবং বেশ কিছু দোকান ও কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার ঘটনার গ্রাম জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও র‍্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। রবিবারও পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহাবুব হাসান বলেন, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত। নতুন কোন ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এদিকে বর্বরোচিত হামলা-ভংচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ ১০ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার সন্ধ্যায় শিয়ালী গ্রামে বর্বরোচিত এ ঘটনার পর রূপসা থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০ জন থেকে ২০০ জনকে আসামি করে রূপসা থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং৭(৮)২০২১। ধারা-১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/১৬(২) তৎসহ ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৫৩/৪৪৭/৪৪৮/৪২৭/২৯৫ দঃবিঃ। মামলা রুজুর পরই জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে রূপসা থানা পুলিশ এজাহার নামীয় ৯ জনসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতাকৃতরা হল- শরিফুল ইসলাম (৪০), শেখ মঞ্জুরুল আলম (৪২), শরিফুল শেখ (৩০) রানা শেখ (২২), আকরাম ফকির (৪০), সোহেল শেখ ৯২০), সম্রাট মোল্যা (২৪), জামিল বিশ্বাস (২৪) শামিম শেখ (২২) ও মোমিনুল ইসলাম (২৮)। গ্রেফতারকৃতরা চাদপুর ও শিয়ালী গ্রামের বাসিন্দা। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জনিয়েছে। রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্ধ। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ। তারা এ ঘটনার নিন্দা ও ক্ষতিগ্রস্তদের সমবেদনা জানান। এদিনও শিয়ালী গ্রামর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে দেখা হেছে আতংক। শিয়ালী পূর্বপাড়া হরি মন্দিরের দেব-দেবীর বিগ্রহ ও শিয়ালী দূর্গা মন্দিরের দেব-দেবীর বিগ্রহ পাহাড়া দিতে দেখা যায় সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীদের। শিবনাথ ধরের বাড়ি ভাংচুরের দৃশ্য এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। শিবনাথ ধরের বাড়ির একটি সমাধিও ভেঙ্গে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ভুক্তভোগীরা জানান, অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে গ্রামবাসীকে সহযোগিতা না করার অভিযোগ করেন তারা। তবে জেলা ও থানা পুলিশের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। রূপসা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে মামলায় এজাহারনামীয় ৯জনসহ ১০ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
×