ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী খুলনা ও যশোরে মৃত্যু ৩৫

উত্তরাঞ্চলে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, উদ্বেগ

প্রকাশিত: ২৩:০২, ২৩ জুন ২০২১

উত্তরাঞ্চলে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, উদ্বেগ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পুরো উত্তরাঞ্চলে এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ। শহরের পথ মাড়িয়ে গ্রামীণ জনপদেও হানা দিয়েছে করোনা। দিনে দিনে ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকেই যাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। টানা লকডাউনেও দমানো যাচ্ছে না পরিস্থিতি। এ নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও সংশয় প্রকাশ করেছেন। রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন করোনা সংক্রমণের ৬০ ভাগই গ্রামের মানুষ। এদিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মঙ্গলবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ পুরুষ ও তিনজন নারী। যাদের পাঁচজনের করোনা পজিটিভ ছিল। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া খুলনার সরকারী ও বেসরকারী চার হাসপাতালে ১২ জন, যশোরে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ১০ জন, বগুড়ায় তিনজন, বাগেরহাটে চারজন, ঝিনাইদহে একজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা মারা যান। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ১২ জন ও নাটোরের একজন। এদের মধ্যে ছয়জন মারা যান আইসিইউতে। মৃতদের মধ্যে ৯ জনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। এ নিয়ে চলতি মাসের গত ২১ দিনে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ২২৯ জন। সবচেয়ে বেশি মারা যান গত ৪ জুন ১৬ জন এবং সবচেয়ে কম ১২ জুন চারজন। শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৬ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচ, নাটোরের সাত, নওগাঁর পাঁচ ও কুষ্টিয়ার একজন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৬১ জন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩০৯ বেডের বিপরীতে হাসপাতালে মোট চিকিৎসাধীন রোগী আছেন ৩৯৩ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ২৫৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৬১ জন, নাটোরের ৩৩ জন, নওগাঁর ৩০ জন, পাবনার সাতজন, কুষ্টিয়ার পাঁচজন এবং চুয়াডাঙ্গার একজন রয়েছেন। আইউসিইউতে ভর্তি আছেন ১৯ জন। এদিকে জেলার গ্রামীণ জনপদে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণ ক্রমশই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ভর্তি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী। তিনি বলেন, নতুন ভর্তি রোগীর প্রায় ৬০ শতাংশই গ্রাম থেকে এসেছে। বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। শামীম ইয়াজদানী বলেন, সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় থামানো যাচ্ছে না করোনার সংক্রমণ। এখন রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে। তবে এখনও সময় ফুরিয়ে যায়নি। সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই এই মহামারী মোকাবেলা সম্ভব বলে জানান তিনি। গ্রামে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকসহ দায়িত্বরত সকলকে স্বাস্থ্যবিধির নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিভাগে এ পর্যন্ত করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রায় ৫ হাজার রোগী। বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের হিসেবে, এ পর্যন্ত বিভাগে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৫৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে রাজশাহী জেলায়। বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৯৬৫ জনের করোনা ধরা পড়েছে বগুড়ায়। খুলনায় ১২ জন ॥ খুলনায় সরকারী ও বেসরকারী চার হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আওতায় ডেডিকেটেড ১৩০ শয্যার হাসপাতালে সাতজন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজন, ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেøক্সে একজন এবং নগরীর বেসরকারী গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিন জন মারা গেছেন। এদিকে মঙ্গলবার সিভিল সার্জনের দফতরের দৈনিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ২৪ ঘণ্টায় খুলনা জেলার ৯ জন করোনা পজিটিভ রোগী মারা গেছেন। এদিকে খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২৯টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হন ২৬৮ জন। যশোরে ১০ জন ॥ যশোরে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১০ জন। এদের মধ্যে ৬ জন করোনা রোগী এবং অপর ৪ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৩৭ জন। এর মধ্যে রেড জোনে ৮০ বেডের বিপরীতে ৯২ জন এবং ইয়েলু জোনে ২২ বেডের বিপরীতে ৪৫ জন। বগুড়ায় ৩ জন ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ার দুই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনের বাড়ি জয়পুরহাট ও একজনের বাড়ি গাইবান্ধায়। করোনা ডেডিকেটেড বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতাল ও বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তারা চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুর করে আরও ৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে বগুড়ার ৩টি হাসপাতালে প্রতিদিনই করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মোহাম্মাদ আলী হাসপাতাল ও বেসরকারী টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৬৯ জন করেনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর ও গাইবান্ধা জেলার। বাগেরহাটে চারজন ॥ বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ১১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। এ পর্যন্ত বাগেরহাটে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৬৯২ এবং মারা গেছে ৭০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৪০ জন। বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৮১ জন। মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডাঃ কেএম হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সিলেটে ৩ জন ॥ সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫২ জনে। একই সময়ে সিলেট বিভাগে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে আরও ১১৩ জনের শরীরে। এছাড়া এই ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে হাসপাতালে ও বাড়ি চিকিৎসাধীন আরও ১০৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গাইবান্ধায় শনাক্ত ১৩ ॥ গাইবান্ধায় ২৪ ঘণ্টায় মঙ্গলবার নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩ জন। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ২, সদরে ৪, সাঘাটায় ১, পলাশবাড়ীতে ৩ ও সাদুল্যাপুর উপজেলায় ৩ জন। তবে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নানা উপসর্গে সন্দেহজনকভাবে ১৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ঝিনাইদহে মৃত্যু ১ ॥ মঙ্গলবার নতুন করে ঝিনাইদহে আরও ৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছেন একজন। ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০ জনের ফলাফল পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তের হার ৪৭ দশমিক ৬১ ভাগ। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত রোগির সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ হাজার ৪২১ জনে। এছাড়াও ২৪ ঘণ্টায় কনোরায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৭১ জন। চট্টগ্রামে শনাক্তের হার ২৩ ॥ চট্টগ্রাম জেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার প্রায় ২৩ শতাংশে ঠেকেছে। গত কয়েকদিন ধরেই কোভিড পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২২৬। মৃত্যু হয়েছে আরও ১ জনের। স্বাস্থ্য বিভাগের মঙ্গলবারের প্রতিবেদন অনুযায়ী আগের দিন সোমবার ৯৯০টি নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২২৬ জনের দেহে। আক্রান্তের হার ২২ দশমিক ৮৩। নতুন করে আক্রান্ত ২২৬সহ জেলায় মোট আক্রান্ত এখন ৫৬ হাজার ৩৯৭ জন। প্রায় প্রতিদিনই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সাতক্ষীরায় ৯ জনের মৃত্যু ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা করোনা ডেডিকেটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ কয়েকটি ক্লিনিকে করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ১জন করোনা পজিটিভ। জেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনা পজিটিভ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৬২জন ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৮১ জনের। এদিকে ১৮৮ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৮৬জন করোনা পজিটিভ হয়েছে। আক্রান্তের হার ৪৫.৭৪ ভাগ। সাতক্ষীরা করোনা ডেডিকেটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগী ভর্তি রয়েছেন ২৫৪ জন। এছাড়া ৬টি ক্লিনিকে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছে ১৩৮ জন। এরমধ্যে পজিটিভ আছে ৪১জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন করোনা পজেটিভ রোগীর সংখ্যা ৭৮৬ জন। নড়াইলে ৩ জন ॥ নড়াইলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা সবাই মহিলা। এরা হলেন লোহাগড়া উপজেলার বাতাশি গ্রামের হামিদা বেগম, ল²ীপাশার রীনা বেগম ও সদর উপজেলার বড়গাতী গ্রামের খাদিজা বেগম। একই সময়ে ৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ৪২। শনাক্তের হার ৪৮.২৭। গত ৮ দিনে নড়াইলে করোনায় ৮জনের মৃত্যু হয়। মাগুরায় ১৬ জন আক্রান্ত ॥ মঙ্গলবার মাগুরায় ১৬জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এই নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হলো ১৪২১জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ২৫জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১২২৩জন। সোমবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিল ২০জন। দিনাজপুরে ২ জুনের মৃত্যু ॥ দিনাজপুর সদরে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১শ’ ১০ জন। ২শ’ ৫০টি নমুনা পরীক্ষায় ১১০ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। মৃত্যু ২ জন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, মঙ্গলবার দিনাজপুরে করোনা সংক্রমণের হার ছিল ৪৪ শতাংশ। ফরিদপুরে নয়জনের মৃত্যু ॥ ফরিদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ডেডিকেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা শনাক্ত ও সন্দেহজনক আরও নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে চারজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বাকি পাঁচজন করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে করোনা সন্দেহজনক রোগী হিসেবে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যু হওয়া ওই নয়জনের মধ্যে করোনা ওয়ার্ডে মারা গেছেন চারজন এবং আইসিইউতে মারা গেছেন পাঁচজন। করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যু হওয়া চারজনই করোনা সন্দেহজনক রোগী ছিলেন। অপরদিকে আইসিইতে মৃত্যু হওয়া পাঁচজনের মধ্যে চারজনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল এবং একজন ছিলেন সন্দেহজনক। যে চারজন করোনা শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন তাদের মধ্যে ফরিদপুরের তিনজন ও গোপালগঞ্জের একজন। মৃত্যু হওয়া ফরিদপুরের তিনজন হলেন সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রেশমা বেগম (৩৫), নগরকান্দা উপজেলার সিরাজুল ইসলাম (১০০) ও বোয়ালমারী উপজেলার বাইক্ষীর গ্রামের মমতাজ বেগম (৬৫)। মৃত্যু হওয়া গোপালগঞ্জ জেলার ব্যক্তির নাম রাজ্জাক শেখ (৮০)। মৃত্যুবরণকারী সকলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ওয়ার্ড ও আইসিইতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
×