ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উখিয়ায় উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলা যেন বন্ধ হচ্ছে না

রোহিঙ্গাদের ফেলানো বর্জ্যে নদী-নালা ভরাট

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ১৬ জুন ২০২১

রোহিঙ্গাদের ফেলানো বর্জ্যে নদী-নালা ভরাট

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার/ সংবাদদাতা, উখিয়া ॥ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যের কারণে অতীষ্ট হয়ে উঠেছে স্থানীয়রা। প্লাষ্টিকের বোতল, পলিথিন ও মলমুত্রের কারণে খাল-নাল সর্বত্র বেসামাল অবস্থা হয়ে দা*ড়িয়েছে। এসব বর্জ্যে ভোগান্তি যেন শেষ নেই এলাকাবাসির। গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিতে পানির সঙ্গে বর্জ্য নেমে খালে নালে ভরে গেছে। এছাড়াও তলিয়ে গেছে উখিয়ার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। জলাবদ্ধতায় কোটবাজার-সোনারপাড়া সড়ক ডুবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। অতি বৃষ্টিতে গ্রামাঞ্চলের সড়কগুলো নাজুক অবস্থা। বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়ে বাসাবাড়ি, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বালুখালী ঢালার ব্যবসায়ী শব্বির আহমদ বলেন, তাদের বেশ কয়েকটি দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। উখিয়া সদর রাজা পালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, উখিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে দারোগা বাজার ঘেষে ভূমি অফিস পর্যন্ত এবং উখিয়া ষ্টেশনের রাস্তার দু’পাশের ড্রেন ময়লায় ভরাট হয়ে যায়। দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন কাজে উখিয়ায় আসা-যাওয়া করে মানুষ। আমি নিজের দায়বদ্ধতা থেকে জনগণের কল্যাণার্থে ড্রেন পরিস্কার করি। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করি। প্রতি বছর ভূমি অফিস থেকে কাঁচা বাজার পর্যন্ত হাটু পরিমাণ পানি জমে থাকত। বর্ষায় মানুষের চলাফেরায় বিষণ কষ্ট হতো। আমি নিজের টাকা খরচ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে সুন্দর করেছি। এখন একটানা বৃষ্টিতেও পানি জমে থাকে না। পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, প্রতি বছর বর্ষায় অল্প বৃষ্টিতে উখিয়া দারোগা বাজারের পানি থৈ থৈ করতো। হাটু পানিতে জলাবদ্ধতায় সীমাহিন কষ্ট হতো মানুষের। এ বছর রাজা পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করায় জলাবদ্ধতা থেকে মানুষ মুক্তি পেয়েছে। উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাঈদ মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, হঠাৎ অতি বৃষ্টি হয়েছে। তীব্রতা বেশি ছিল। কোটবাজার-সোনারপাড়া সড়কে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। যানজট ও জলজটে একাকার হয়ে পড়ে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করায় পানি দ্রত নেমে যাচ্ছে। এই সড়কের ড্রেন এবং খালের প্রশস্থতা বাড়াতে হবে। কারণ এই সড়ক দিয়েই উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকতে যাতায়াতের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিওর গাড়ি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়াত করে। এটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সড়কের কাজ শেষ করতে হবে।
×