ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

জানসনের করোনা টিকা অনুমোদন

প্রকাশিত: ২৩:১০, ১৬ জুন ২০২১

জানসনের করোনা টিকা অনুমোদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা প্রতিরোধে বেলজিয়ামে উৎপাদিত জানসেনের টিকা দেশে জরুরী ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। আমেরিকান কোম্পানি জনসন এ্যান্ড জনসনের বেলজিয়ান অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান জানসেন ফার্মাসিউটিক্যালসের উৎপাদিত এ প্রতিষেধক ষষ্ঠ টিকা হিসেবে ব্যবহারের অনুমোদন পেল। মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ টিকার অনুমোদনের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জানসেন-ক্লিয়াগ ইন্টারন্যাশনাল এনবি, বেলজিয়াম উৎপাদিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশন (ইইউএ) প্রদানের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর এমএনসি এ্যান্ড এইচ-এর মাধ্যমে ঔষধ প্রশাসনে আবেদন করা হয়। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ভ্যাকসিনটির ডোসিয়ার (ক্লিনিক্যাল পার্ট, সিএমসিপার্ট এবং রেগুলেটরি স্ট্যাটাস) মূল্যায়ন করে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সির ক্ষেত্রে ওষুধ ইনভেস্টিগেশনাল ড্রাগ, ভ্যাকসিন এবং মেডিক্যাল ডিভাইস মূল্যায়নের জন্য গঠিত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে ইইউএ প্রদান করে। ভ্যাকসিনটি ১৮ বছর এবং এর বেশি বয়সের ব্যক্তির জন্য ব্যবহারযোগ্য। বেলজিয়ামে তৈরি ভ্যাকসিনটি এক ডোজের, এটি সরকারের ডিপ্লয়মেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে দেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এর সংরক্ষণ তাপমাত্রা ২-৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গত ১২ মার্চ ভ্যাকসিনটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরী ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পায়। গত ২৭ ফেব্রæয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর ও ১১ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন জরুরী ব্যবহারে জানসেনের টিকার অনুমোদন দেয়। নিজ দেশে তৈরি করোনা টিকার জরুরী অনুমোদন ইরানের ॥ জরুরী ব্যবহারের জন্য নিজ দেশে তৈরি টিকার অনুমোদন দিয়েছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক খবরে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ইরানের এই টিকার নাম দেয়া হয়েছে কোভ-ইরান বারেকাত। সোমবার ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সায়ীদ নামাকি আরাক ইউনিভার্সিটি অব মেডিক্যাল সায়েন্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নিজেদের তৈরি টিকার জরুরী ব্যবহারের ঘোষণা দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সায়ীদ নামাকি বলেন, সামনের শরৎকালের মধ্যেই ইরানের সব নাগরিককে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। তিনি বলেন, এই ভ্যাকসিন তৈরি করতে সবচেয়ে কম খরচ হচ্ছে এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই কম। অন্যদিকে এটি সারাবিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে করোনার বিরুদ্ধে কাজ করবে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা না পাওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই সঙ্কটে ছিল ইরান। তাই তারা নিজ দেশের জনগণের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেরাই টিকা তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। নিষ্ক্রিয় ভাইরাসের ওপর ভিত্তি করে ইরানের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সিফাফার্ম এই টিকা তৈরি করেছে। গত ডিসেম্বরেই এই টিকার নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা হয়। এদিকে ইরান এবং কিউবা যৌথভাবে আরও একটি টিকা নিয়ে কাজ করছে। আগামী সপ্তাহেই নতুন এই টিকা ইরানে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
×