ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

চড়া দেশী মুরগির দাম

শেষ মুহূর্তে সেমাই-দুধ ও মাংস কেনার ধুম

প্রকাশিত: ১৯:৩২, ১১ মে ২০২১

শেষ মুহূর্তে সেমাই-দুধ ও মাংস কেনার ধুম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পোশাক-আশাক কেনার পাশাপাশি শেষ মূহূর্তে এবার ভোগ্যপণ্য কেনাকাটার জন্য মুদির দোকানে ভিড় করছেন নগরবাসী। কিনছেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লাচ্ছা ও সাধারণ মানের সেমাই। সেই সঙ্গে চিনি ও তরল দুধ কেনা হচ্ছে। দাম যাই হোক, সবার চাই সেমাই। কারণ ঈদের প্রধান অনুসঙ্গ দুধ-সেমাই। চাহিদা সামনে রেখে সেমাই ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দুধের দাম বেড়ে গেছে। তরল দুধের সঙ্গে অনেকে গুঁড়োদুধ কিনছেন। এছাড়া ঢাকার প্রতিটি মাংসের দোকানে এখন বড় সাইজের গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। গো-মাংসের স্বাদ নিতে সবাই ছুটে যাচ্ছেন গরু মাংসের দোকানে। কেজিতে ৫০-৮০ টাকা বেড়ে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬২০ টাকায়। এছাড়া পাকিস্তানী লেয়ার, ব্রয়লার ও দেশী মুরগির কিনছেন নগরবাসী। ভোগ্য ও নিত্যপণ্যের বাজারে এখন গভীর রাত পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে এখন উপচেপড়া ভিড় লেগে আছে। অনেক অফিসে ঈদের ছুটি হয়ে যাওয়ার কারণে ভোগ্যপণ্যের আগাম বাজার সেরে ফেলছেন। নগরীর সব দোকানে দোকানে এখন ভিড় লেগে আছে। ঈদের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে অনেকে স্যালুনে গিয়ে চুলকাটা থেকে থেকে শুরু করে ফেচিয়াল করছেন। মহিলারা মেহেদি উৎসবে শামিল হতে বাজার থেকে কিনে নিচ্ছেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মেহেদি। এছাড়া মার্কেট, শপিংমল ও বিপণি বিতানগুলোতে বিপুল সংখ্যক ক্রেতাসমাগম হচ্ছে। নগরবাসীর একটি অংশ চাঁন রাতে পোশাক-আশাক কিনতে পছন্দ করে। ওই সময় অনেক বিক্রেতা বিক্রির উপর ছাড় দিয়ে থাকেন। এই অফার নিতে অনেক ক্রেতা চাঁন রাতে পছন্দের পোশাকটি কেনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়া নগরবাসী শেষ সময়ে মার্কেটে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। দুরপাল্লার বাস ও অন্যান্য যাত্রীসেবা পরিবহন বন্ধ থাকায় এবার বেশিরভাগ ঢাকাবাসী নাড়ির টানে দেশে যেতে পারছে না। তাদের ঢাকায় ঈদ করতে হবে। একারণে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এবার ঢাকার মার্কেটগুলোতে বেচাকেনা হবে। এ প্রসঙ্গে নিউ মার্কেটের তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী সালমান রাব্বানী হিমু জনকণ্ঠকে বলেন, এবার আমরা চাঁনরাত পর্যন্ত ক্রেতা পাবো। করোনার বিধিনিষিধের কারণে নগরবাসীর বড় অংশ এবার দেশে যেতে পারেনি। তাঁরা ঢাকায় ঈদ করবেন। এ কারণে শেষ সময় পর্যন্ত বেচাকেনা হবে। তিনি বলেন, এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে এবার আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। দুধ- সেমাই ও গরুর মাংস বিক্রির ধুম ॥ শেষ মুহূর্তে দুধ- সেমাই ও গরুর মাংস কেনার ধুম পড়েছে ঢাকার বাজারগুলোতে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাইয়ের প্যাকেট ৫০-৫৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬০০-৬২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাংস ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদ সামনে রেখে সবচেয়ে ভাল গরুগুলো এনে এখন জবাই করা হচ্ছে। এ কারণে মাংসের দাম একটু বেড়েছে। গরুর মাংসের পাশাপাশি পাকিস্তানী লেয়ার মুরগির দাম আরেক দফা বেড়েছে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। প্রতিকেজি দেশী মুরগি ৪৫০-৫৫০ এবং পাকিস্তানী লেয়ার ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া খাসির মাংস আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। চড়া মাছের বাজার। প্রায় সব ধরনের মাছের দাম বেড়ে গেছে। এছাড়া মসলা পাতির দামও চাহিদাকে সামনে রেখে কিছুটা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে গরম মসলার দাম বেড়ে গেছে। এছাড়া তরল দুধ ৭৫ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও তা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারগুলোতে।
×