ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলা নতুন বছরে তারুণ্যের প্রত্যাশা

প্রকাশিত: ০০:২০, ১৮ এপ্রিল ২০২১

বাংলা নতুন বছরে তারুণ্যের প্রত্যাশা

বছর ঘুরে আবার আসছে পয়েলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ। ১৪২৭ বঙ্গাব্দকে বিদায় জানিয়ে ১৪২৮ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত গোটা জাতি। পুরনো বছরের দুঃখ আর জরাজীর্ণতা ভুলে নতুন বছরে নব উদ্যমে পথ চলতে চায় সবাই। নতুন বছরের ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাংলা নতুন বছরের তারুণ্যের প্রত্যাশা তুলে ধরেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ ফাহাদ হোসেন বাংলা সনের ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে জিল্লাল হোসাইন সৌরভ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ‘নতুন বছরের আগমন মানেই নতুন কিছুর সম্ভাবনা। এই সম্ভাবনাগুলো সকল শ্রেণীবিবাদ ভুলে গিয়ে প্রতিটি মানুষের দরজায় গিয়ে হাতছানি দেবে বলে আশাবাদী। নতুন বছর আমাদের নতুন করে হলেও এই বার্তাটা দিয়ে যাক যেন আমরা মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান করতে পারি। চিন্তায় এবং মননশীলতায় যেন আমরা স্বচ্ছতা আনতে পারি এবং দূরে থাকতে পারি সাম্প্রদায়িক চিন্তা থেকে। আমাদের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বাংলা সনের ব্যবহারে আমরা অবহেলা করছি প্রতিনিয়ত। আশা করি প্রতিটি মানুষই ব্যক্তিজীবনে বাংলা সনের ব্যবহারে গুরুত্ব দেবে। নতুন বছরে মুছে যাক জরাজীর্ণ, অসুন্দর-অশুভ সবকিছু। দূর হোক অস্বাস্থ্যকর রাজনৈতিক চর্চা এবং গড়ে উঠুক প্রকৃত সুখী ও সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ।’ বাংলাদেশ উন্নতির পথে এগিয়ে যাক খায়রুন নাহার মুন্নী, শিক্ষার্থী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ‘মানুষ স্বভাবগতভাবেই নতুন বছরে নতুন কিছু আশা করে। তারা ভাবে নতুন বছর তাদের পুরনো সব ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি দিবে। ১৪২৭ বঙ্গাব্দের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে বোধহয় সবার সাধারণ চাওয়া ১৪২৮ বঙ্গাব্দে করোনা নামক ভাইরাসটি দূর হয়ে তাদেরকে মুক্তি দিক। যেভাবে করোনায় আক্রান্ত শনাক্তের হার এবং মৃত্যু হার বাড়ছে, এই মহামারীতে সুস্থ থাকুক সবাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণগুলো আবার মুখরিত হয়ে উঠুক। ক্লাসগুলো প্রাণ ফিরে পাক আবার। সেশন জট থেকে মুক্ত হক শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। আমার মতো হয়ত অনেকেরই নতুন বছরের আরেকটি চাওয়া- হয় এই দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি নিয়ন্ত্রণে আসুক না হয় এই উর্ধ গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দ্রব্য কেনার সামর্থ্য হোক। বাংলাদেশ উন্নতির পথে এগিয়ে যাক। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের মেলবন্ধন অটুট থাকুক। সৃষ্টিকর্তা সকলের মঙ্গল করুক।’ নতুন বছরে চাই একটি বৈষম্যহীন সমাজ নূমায়ের খালিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বিদায় নিচ্ছে আরও একটি বছর, আসছে নতুন বছর। নতুন বছরে সবার প্রচেষ্টা থাকে নতুন করে শুরু করার। থাকে নতুন প্রত্যাশা। নতুন বছরে আমারও তেমনি প্রত্যাশা থাকবে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। যেখানে থাকবে না হিন্দু, মুসলিম, অনন্য সাম্প্রদায়িক বিভেদ। যেখানে সংখ্যালঘু বলে কোন শব্দ থাকবে না। চাই একটি বৈষম্যহীন সমাজ। যেখানে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ শহর, গ্রামসহ একদম প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষরা পাবে রাষ্ট্রে সমানাধিকার, সমান সুযোগ-সুবিধা লাভ করবে। যেখানে থাকবে না বিচারহীনতার সংস্কৃতি। বঞ্চিতদের বিচার চাইতে রাস্তায় নামার প্রয়োজন হবে না। দেখতে চাই ‘বহিঃশক্তির প্রভাবমুক্ত একটি বাংলাদেশ’ যে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকের দাঁড়াবে আপন শক্তিতে, কারো অনুদানে নির্ভর করে নয়। বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হবে মুক্তমত, মুক্তচিন্তা করার জায়গা। রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে থাকবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা। মত প্রকাশের জন্য তাকে নিগৃহীত করা হবে না। হবে সামাজিক ন্যায়বিচারের মাধ্যমে গড়ে ওঠা একটি সহনশীল সমাজ।’
×