ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আসানসোলে নির্বাচনী সভায় মোদি

এবারের নির্বাচনে তৃণমূল সাফ হয়ে যাবে

প্রকাশিত: ২৩:৩৩, ১৮ এপ্রিল ২০২১

এবারের নির্বাচনে তৃণমূল সাফ হয়ে যাবে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ প্রার্থীর ওপর হামলা, বোমাবাজি, ভোটারকে মারধর, ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা ও জালভোটের অভিযোগের মধ্যে শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে। এদিন উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও দার্জিলিংয়ের ৪৫ আসনে ভোট হয়। ৬ জেলার মোট ভোটার ছিলেন ১ কোটি ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩শ’। লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী, বড় নেতা, চলচ্চিত্র ও নাট্যজগতের ব্যক্তিত্ব। পঞ্চম দফা ভোটের মধ্যেই আসানসোলে এক নির্বাচনী সভায় যোগ দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের নির্বাচনে দিদির দল সাফ হয়ে যাবে। খবর আনন্দবাজার ও এনডিটিভি অনলাইনের। করোনার আবহের মধ্যেই সকাল সাতটা থেকে ভোট শুরু হয়। প্রার্থী সংখ্যা ছিল ৩২১। নারী প্রার্থী ছিলেন ৩৯ জন। তৃণমূলের তারকা প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন বারাসাতে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র তারকা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, কামারহাটিতে সাবেক তৃণমূল মন্ত্রী মদন মিত্র, জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ী আসনে বিদায়ী মন্ত্রী গৌতম দেব, বিধাননগর আসনে বিদায়ী মন্ত্রী সুজিত বসু, রাজারহাট-গোপালপুর আসনে প্রখ্যাত কীর্তনিয়া ও ‘সারেগামাপা’খ্যাত গায়িকা অদিতি মুন্সী, বরাহনগর আসনে বিদায়ী মন্ত্রী তাপস রায় এবং পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর আসনে বিদায়ী মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। বিজেপির তারকা প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন বরাহনগর আসনে অভিনেত্রী পার্নো মিত্র, রাজারহাট গোপালপুর আসনে সাবেক বিধায়ক ও বিজেপির বর্তমান রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এবং বিধাননগর আসনে সাবেক বিধায়ক ও বিধাননগর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত প্রমুখ। সংযুক্ত মোর্চার উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন শিলিগুড়িতে রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য, রাজারহাট-নিউটাউনে সিপিএমের সপ্তর্ষি দেব। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচন কমিশন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। ৪৫ নির্বাচনী এলাকার ভোট কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। শনিবারের ভোটপর্বে ভোট নেয়া হচ্ছে ১৫ হাজার ৭৮৯ কেন্দ্রে। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী জনসভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কঠোর সমালোচনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, ‘২ মের পর দিদি (মমতা) হবেন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মোদি বলেন, বাংলা থেকে ২ মে বিদায় নেবে কয়লা আর বালির মাফিয়া রাজ। বন্ধ হয়ে যাবে এই কয়লা-বালির ‘ভাইপো ট্যাক্স’। তারপরই এই বাংলা হবে তোলাবাজ, ভ্রষ্টাচার, সন্ত্রাসমুক্ত এক সোনার বাংলা। শান্তির বাংলা। একই দিন সকালে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙ্গায় একটি রোড শোতে অংশ নেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, দিদির সময় শেষ। আসছে এবার এই বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায়। দুইশ’র বেশি আসনে জয়ী হয়ে এই বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি।
×