ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

গ্যালারি কায়ায় ভারতীয় বিখ্যাত শিল্পীদের প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ২২:৪৬, ১ মার্চ ২০২১

গ্যালারি কায়ায় ভারতীয় বিখ্যাত শিল্পীদের প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কালো রঙের জমিনে আবৃত এক ক্যানভাস। সেই চিত্রপটে ঘুড়ির কাঠামোকে সঙ্গী করে এগিয়েছে রেখার কারুকাজ। কালোর মাঝে দেখা মেলে কমলা, হলুদ, নীল-সুবজ আর সাদায় রঙের চমৎকার বিন্যাস। রহস্যময়তার বুনটে সাজানো সেই ক্যানভাসে উদ্ভাসিত বিচিত্রভাবে হয়েছে বিষয়। প্রথমে ধরা দেয় ফ্রক পরিহিতা একা বালিকার ছবি। এরপর প্রসারিত দৃষ্টিতে মায়ের কোলে ধরা দেয়া সদ্যজাত শিশু। নিচের অংশে বৃক্ষ-লতাপাতার উল্টো দিকে ছুটে বেড়ায় এক কিশোর। চিত্রকর্মটির স্রষ্টা পদ্মশ্রী পদকপ্রাপ্ত বিশ্বখ্যাত ভারতীয় চিত্রকর মকবুল ফিদা হুসেন। আর শুধু মকবুল ফিদা নয় ভারতের এমন বিখ্যাত শিল্পীদের শিল্পকর্ম এখন শোভা পাচ্ছে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাড়ির গ্যালারি কায়ায়। প্রদর্শনালয়টিতে চলছে পদ্মভূষণপ্রাপ্ত বাঙালী ভাস্কার সোমনাথ হোরকে নিবেদিত ‘মাস্টারস এ্যান্ড প্রডিজিস’ শিরোনামের প্রদর্শনী। ভারতে রবিবার বসন্ত বিকেলে এই শিল্পায়োজনের সূচনা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। উদ্বোধনী বক্তব্যে দোরাইস্বামী বলেন, এ বছর স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে পা রাখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে এলো। ইতিহাসের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে এসে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও নতুন মাত্রায় বিকশিত করতে হবে। শিল্পায়োজনটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই প্রদর্শনীতে ভারতের স্বনামধন্য শিল্পীদের ছবি স্থান পেয়েছে। ভারতের অনেক নামীদামী শিল্পীদের চিত্রকর্ম স্থান দেয়া হয়েছে। গ্যালারি কায়ার পরিচালক শিল্পী গৌতম চক্রবর্তী এই প্রদর্শনীর আয়োজন করতে গিয়ে যে শ্রম দিয়েছেন তা বাংলাদেশের মানুষের অন্তর্নিহিত অতিথিপরায়ণ চরিত্রকেই তুলে ধরেছে। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। বক্তব্য প্রদান শেষে ঘণ্টা বাজিয়ে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, গ্যালারি কায়ার পরিচালক শিল্পী গৌতম চক্রবর্তী। সব মিলিয়ে প্রয়াত ও জীবিত ৩৪ ভারতীয় আধুনিক ও সমকালীন শিল্পীর ছাপচিত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে এ প্রদর্শনী। ছাপচিত্রের লিথোগ্রাফ, এচিং, সেরিগ্রাফ, সিল্কস্ক্রিন, উডকাট প্রিন্ট ও উড এনগ্রেভিং মাধ্যমে চিত্রিত হয়েছে চিত্রকর্মগুলো। প্রদর্শনীতে ঠাঁইপ্রাপ্ত চিত্রকর্মের সংখ্যা ৬৭টি। সতেরো দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল এগারোটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই শিল্পায়োজন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপভোগ করা যাবে এই প্রদর্শনী। সেক্ষেত্রে দর্শনার্থীদের জন্য মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব।
×