ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীর অশ্লীল ভিডিও, গ্রেফতার ১

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ২৬ জানুয়ারি ২০২১

প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীর অশ্লীল ভিডিও, গ্রেফতার ১

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ দুবছর ধরে এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল হারুনুর রশিদের (৩০)। সে সময় কৌশলে ধারণ করে রেখেছিলেন প্রেমিকার অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও। নানা কারণে তাদের প্রেমের সম্পর্ক আর টেকেনি। এখন প্রেমিকার সেই অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন হারুন। ওই তরুণী সাবেক প্রেমিক হারুনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেসব ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলার অনুরোধও করেন। তবে হারুন দাবি করেন টাকা। এরপর বিভিন্ন সময় ওই তরুণী তিন লাখ টাকাও দেন। কিন্তু তারপরও ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে যাচ্ছিলেন হারুন। অবশেষে মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। হারুনের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নামকান গ্রামে। তার বাবার নাম শাহাজাহান প্রামানিক। সোমবার দিবাগত রাতে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) একটি দল তাকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে নিজের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক। তিনি জানান, হারুনুর রশীদ আসলে ওই তরুণীর সঙ্গে দুবছর ধরে প্রেমের অভিনয় করেছেন। মেয়েটির দুর্বলতার সুযোগে হারুন তার অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। নানা কারণে মানোমালিন্য হলেও এখন তাদের আর কোন সম্পর্ক নেই। গত ১১ জানুয়ারি মেয়েটি জানতে পারেন, হারুন অন্য একটি ফেসবুক আইডি থেকে তার ভিডিও এবং ছবি পরিচতদের ম্যাসেঞ্জারে পাঠাচ্ছেন। বিষয়টি জানতে পেরে ওই তরুণী হারুনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এসব মুছে ফেলার জন্য হারুন তখন তিন লাখ টাকা দাবী করেন। মানসম্মানের ভয়ে ওই তরুণী বিভিন্নভাবে টাকা ম্যানেজ করে হারুনের হাতে তুলে দেন। কিন্তু তারপরও হারুন থামেননি। আগের মতোই তিনি ভিডিও এবং ছবি ছড়াচ্ছিলেন ইন্টারনেটে। দাবি করছিলেন আরও টাকা। এ নিয়ে ভুক্তভোগী তরুণী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় হারুনকে তার নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ কমিশনার জানান, হারুনের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। সেটি ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। এতে বোঝা যাবে, এই মোবাইল ব্যবহার করে হারুন আর কোন তরুণীর সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছেন কিনা। মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনকে আদালতে সোপর্দ করেছেন। আদালতে তার রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে তাকে থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।
×