ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

লঞ্চের ছাদে যুবক খুন

প্রকাশিত: ২১:১৪, ১৮ নভেম্বর ২০২০

লঞ্চের ছাদে যুবক খুন

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের যাত্রীবাহী বিলাসবহুল সুন্দরবন-১১ লঞ্চের ছাদে ছুরিকাঘাত করে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম শামীম হাওলাদার (২৪)। মঙ্গলবার বিকেলে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন বরিশাল সিআইডির ইন্সপেক্টর নুরুল ইসলাম তালুকদার। তিনি জানান, নিহত শামীম ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নের কুপিলা গ্রামের বাসিন্দা খালেক হাওলাদারের পুত্র। সে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার আবির ফ্যাশন নামে একটি গার্মেন্টসের শ্রমিক। সূত্রমতে, বিলাসবহুল লঞ্চ এমভি সুন্দরবন-১১ লঞ্চটি মঙ্গলবার ভোরে বরিশালে এসে পৌঁছলে লঞ্চের স্টাফরা ছাদের এককোণে এক যুবক?কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি সুপারভাইজারকে জানানোর পর তারা বরিশাল নৌ-থানা পু?লিশকে খবর দেয়। বরিশাল নৌ-সদর থানার ওসি আব্দুলাহ আল মামুন জানান, ওই যুবকের পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এতে তার পেট থেকে ভুরি বেরিয়ে যায়। কোতোয়ালি মডেল থানার (ওসি) নুরুল ইসলাম পিপিএম জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। কালিয়াকৈরে গার্মেন্টস কর্মী স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর থেকে জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক গার্মেন্টস কর্মীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে তার স্বামী। মঙ্গলবার নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে। নিহতের নাম তানিয়া আক্তার (২৫)। সে সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থানার চিলগাছা এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার স্ত্রী। নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৩/৪ বছর আগে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার মাছুয়াকান্দি এলাকার শহীদুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া আক্তারকে বিয়ে করে ইব্রাহিম। বিয়ের পর তানিয়া স্বামীকে নিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকার শাহজাহান মিয়ার বাসায় ভাড়া থেকে স্থানীয় স্টার লিং লিমিটেড নামের পোশাক কারখানায় চাকরি করত। মাদক সেবনের কারণে ইব্রাহিমের সঙ্গে গত কিছুদিন ধরে তানিয়া ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। সোমবার রাতের তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। প্রতিবেশীদের হস্তক্ষেপে সমাধান হলে রাতের খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘুমন্ত তানিয়াকে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় ইব্রাহিম। মাগুরায় কৃষক নিজস্ব সংবাদদাতা মাগুরা থেকে জানান, মাগুরা সদর উপজেলার নন্দলালপুর গ্রামে ফসলের জমিতে সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে জাকির হোসেন লিটন (৪৮) নামে এক কৃষকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। নিহত জাকির হোসেন নন্দলালপুর গ্রামের মুন্সি মনসুর আহমেদের ছেলে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নন্দলালপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া চায়ের দোকানের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহতের স্ত্রী হেলেনা বেগম জানান, নন্দলালপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম শরি ও তার স্বামী জাকির হোসেনের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তার জের ধরে সোমবার রাতে তার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে শরিফুল ইসলাম শরিসহ তার লোকজন। ঘটনার সময় লিটন নন্দলালপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া চায়ের দোকানে বসেছিলেন। হেলেনা বেগম আরও জানান, সোমবার বিকেলে স্থানীয় মাঠে মসুর খেতে সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে শরিফুল ইসলামের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়েছিল লিটনের। যার সূত্র ধরে পূবপরিকল্পিতভাবে শরিফুল ইসলাম ও তার লোকজন তার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। মাধবপুরে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু নিজস্ব সংবাদদাতা মাধবপুর হবিগঞ্জ থেকে জানান, মাধবপুর উপজেলার সদ্যবিবাহিত যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের এক্তিয়ারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহত যুবক উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের এক্তিয়ারপুর গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ (২১)। ছাতিয়ান তদন্ত কেন্দ্রের এসআই পার্থ রঞ্জন চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন গত ১২ নবেম্বর নিহত আব্দুল মজিদের সাথে পার্শ্ববর্তী উত্তর নোয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল নূরের মেয়ে ফাহিমার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিবাহের ৫ দিন পর মঙ্গলবার সকালে এক্তিয়ারপুর গ্রামে আব্দুল মজিদের মরদেহ শোবার ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে পুলিশকে খরব দেয় মজিদের পরিবার। তবে মজিদ কি কারণে মারা গেছে তা এখনও জানা যায়নি।
×