ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

ড্যাপ চূড়ান্ত করতে মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠন

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ২৯ অক্টোবর ২০২০

ড্যাপ চূড়ান্ত করতে মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানী ও আশপাশের ডিটেল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) সূক্ষ্মভাবে পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত করার জন্য মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। বর্তমান খসড়া পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করতে কাজ করবে এই নতুন কমিটি। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে গত ২৫ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিটি পুনর্গঠনের আদেশ জারি করেছে। নতুন কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, নৌপ্রতিমন্ত্রী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী। একইসঙ্গে ড্যাপ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, ভূমি মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে কমিটিতে সহায়তাকারী কর্মকর্তা হিসেবে রাখা হয়েছে। কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ, ওয়েবসাইট ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে পাওয়া মতামত এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের মতামত পর্যালোচনা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রণীত ড্যাপ চূড়ান্ত করতে হবে। এছাড়া কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। কমিটির সভা প্রয়োজন অনুসারে হবে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। সংশোধিত খসড়া ড্যাপে বিদ্যমান ক্রুটিগুলো সংশোধন করে বাস্তবভিত্তিক কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যমান ড্যাপে অনেক জায়গায় বিভিন্ন উন্নয়নের প্রস্তাব করা হলেও বাস্তবায়নের কৌশল বলা ছিল না। নতুন ড্যাপে তা করা হয়েছে। একইসঙ্গে এলাকাভিত্তিক জনসংখ্যার ঘনত্ব বুঝে এলাকাভিত্তিক সমস্যা সমাধানের সুপারিশ করা হয়েছে। পরিকল্পনা সহজ করতে জিআইএস ইনস্ট্রাকটিভ ম্যাপ সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ম্যাপ অনুসরণ করে যে কোন নগরবাসী নিজ জায়গা বা প্লটের অবস্থান, আশপাশের ভূমি উন্নয়ন দিকনির্দেশনা সহজেই বুঝতে পারবে। প্রস্তাবিত ড্যাপে ঢাকাসহ আশপাশের এক হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার দুই হাজার ১৯৮ কিলোমিটার জলাধার সিএস রেকর্ড অনুযায়ী উদ্ধার করে সচল করার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব এলাকাকে বিনোদন স্পটে পরিণত করারও সুযোগ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে একদিকে জলাধারগুলো যেমন রক্ষা পাবে, তেমনি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মানুষের বিনোদনেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। গণমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ঢাকার চারপাশের ৫৬৬ কিলোমিটার নদীপথ সচল করা এবং এক হাজার ২৩৩ কিলোমিটার সড়ককে হাঁটার উপযোগী করার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত খসড়ায়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২৭ হাজার কোটি টাকায় ৬২৭টি বিদ্যালয় এবং ১১২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়েছে। সংশোধিত ড্যাপের খসড়ায় বলা হয়েছে, ঢাকার সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংযোগ লাইন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এগুলোকে ভূগর্ভস্থে নিয়ে যেতে সমন্বিত ভূগর্ভস্থ ইউটিলিটি ডাক্ট তৈরি করতে হবে। ফুটপাথ বা সড়কের একাংশ দিয়ে এই ডাক্ট নির্মাণ করে বৈদ্যুতিক লাইন, পানি সরবরাহ লাইন, গ্যাস সরবরাহ লাইন, বৃষ্টির পানি ও পয়ঃবর্জ্য সরবরাহ লাইন নিয়ে যেতে হবে। টাউন ইম্প্রুভমেন্ট এ্যাক্ট ১৯৫৩ এর ৭৩ এর ২ উপধারায় শর্তপূরণ করে রাজউক থেকে ড্যাপের খসড়া মাস্টারপ্ল্যান ১৫ জুলাই গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করা হয়। এরপর গণশুনানির জন্য গেজেট প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।
×