ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফকিরহাটে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনে আলোর ফাঁদ জনপ্রিয়

প্রকাশিত: ১২:৫৭, ২৫ অক্টোবর ২০২০

ফকিরহাটে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনে আলোর ফাঁদ জনপ্রিয়

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের ফকিরহাটে কৃষকের জমিতে আলোর ফাঁদ এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনে এ প্রযুক্তির ব্যবহার করে চাষিরা উপকৃত হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ মাঠপর্যায়ে এ প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে ফকিরহাট উপজেলা কৃষি বিভাগ এর পরামর্শে ফসলের জমিতে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি নির্ণয়ে আলোর ফাঁদ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র থেকে জানা গেছে, আলোর ফাঁদ ব্যবহার করে ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্ণয়ের পরে কীটনাশক প্রয়োগ করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষকের অপ্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার কমবে, আর ফসল থাকবে বিষমুক্ত। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার তন্ময় দত্ত জানান, আলোক ফাঁদ ব্যবহারে পরিবেশ ভাল থাকে, উৎপাদন খরচ কম হয়, কীটনাশক কম লাগে এবং বিপিএইচের উপস্থিতি সহজে বোঝা যায়। আলো দেখলে বাদামী গাছ ফড়িং বা বিপিএইচ পোকা ছুটে এসে এক জায়গায় মিলিত হয়, ফলে সহজে এ পোকা ধ্বংস করা যায়। এই পদ্ধতি এলাকার কৃষকগণ ব্যপকভাবে গ্রহণ করছে এবং ভাল উপকার পাচ্ছে। এতে করে এলাকার কৃষকগণ উপকারি ও অপকারি পোকা সহজে চিনতে পারছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাছরুল মিল্লাত বলেন, অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহারের ফলে কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে কৃষক সহজেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার জমিতে ক্ষতিকর পোকামাকড় আছে কি না তা জানতে পারবেন। এতে ফসল উৎপাদনে খরচ কমে যাবে ও ফসল বিষমুক্ত ও ভাল হয়। ফকিরহাট উপজেলার বাহিরদিয়া এলাকায় শনিবার রাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিভিন্ন জমিতে আলোক ফাঁদ স্থাপন করেন। এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ নাছরুল মিল্লাত, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা তন্ময় দত্ত, উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষ কর্মকর্তা নয়ন কুমার সেন সহ বিভিন্ন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকগন উপস্থিত ছিলেন।
×