ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে ২ ভাইসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড ॥ যাবজ্জীবন চার

প্রকাশিত: ২১:১২, ৬ অক্টোবর ২০২০

কিশোরগঞ্জে ২ ভাইসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড ॥ যাবজ্জীবন চার

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ৫ অক্টোবর ॥ করিমগঞ্জে আলোচিত সরকারী কর্মচারীকে হত্যা ও ডাকাতির চাঞ্চল্যকর মামলায় দুই সহোদরসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া দ-প্রাপ্ত প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদ-ও প্রদান করা হয়েছে। সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত চার আসামি কাসেম, নজরুল, লিটন ও সাত্তারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কার্যকরের আদেশ এবং অপর চার আসামি সিরাজ উদ্দিন, খোকন, সাহেদ ও কান্তু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেয়া হয়েছে। মৃত্যুদ- এবং যাবজ্জীবন প্রাপ্ত ৮ জনের মধ্যে সাহেদ ছাড়া বাকি ৭ জনই জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ সিংগুয়া গ্রামের বাসিন্দা। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত কাসেম ও নজরুল এবং যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত সিরাজ সম্পর্কে তিনজন সহোদর; তারা সিংগুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে। আর সাহেদ পার্শ্ববর্তী বারঘড়িয়া হাসনপুর গ্রামের বাসিন্দা। জানা যায়, জেলা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক তদারক সহকারী কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার কালোপানি বজরা গ্রামের আব্দুর রহমান আমিন চাকরি থেকে অবসরের পর করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ সিংগুয়া গ্রামের শ্বশুরবাড়ি এলাকায় জায়গাজমি কিনে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। ২০০৬ সালের ২২ এপ্রিল গভীর রাতে আসামিরা আব্দুর রহমান আমিনের বসতবাড়িতে ডাকাতি করতে যায়। ডাকাতিকালে বাধা দিলে আসামিরা আব্দুর রহমান আমিনকে ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সময় আব্দুর রহমানের স্ত্রী নূরুন্নাহারকেও ছুরিকাঘাত করে আসামিরা। পরে নগদ ৮০ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসামিরা সটকে পড়ে। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আব্দুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
×