ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শহরের সব সুযোগ সুবিধা থাকবে গ্রামে ॥ তাজুল

প্রকাশিত: ২২:২২, ৫ অক্টোবর ২০২০

শহরের সব সুযোগ সুবিধা থাকবে গ্রামে ॥ তাজুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গ্রামের মানুষকে অবহেলিত রেখে উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। তাই গ্রামে শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে। একই সঙ্গে সার্বিক দিক বিবেচনা করে ফুটপাথ থেকে হকারদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। রবিবার দুপুরে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আমার গ্রাম আমার শহর : প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির প্রথম সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব এবং মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, সার্বিক বিষয়টি পর্যালোচনা করে যেটা যৌক্তিক হবে, যাতে উভয়পক্ষের (হকার ও পথচারী) কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেটাই করা হবে। কারণ হকার এবং পথচারী উভয়েই বাংলাদেশের জনগণ। হকারদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এখানে যে সকল সীমাবদ্ধতা আছে এবং যে ধরনের অপরচুনিটি আছে তা বিবেচনায় রেখে ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি এবং পেপার ওয়ার্ক করছি। আশা করি, সমস্যাটিও আমরা সমাধান করতে পারব। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আমার গ্রাম আমার শহরকে পাইলট প্রজেক্ট করার জন্য টেকনিক্যাল প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশকে উন্নত দেশ করতে হলে হাজার হাজার উপকরণ এ্যাড্রেস করতে হবে। তার মধ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি, পয়োনিষ্কাশন, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট। ওয়েস্ট থেকে বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে একটি নির্দেশনা অনুমোদন নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা কাজও শুরু করেছি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনেরটি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন এবং প্রাইস নেগোসিয়েশন হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ সিটি ও গাজীপুরেও হচ্ছে। এরপর নারায়ণগঞ্জেও হচ্ছে। সারাদেশেই ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট হবে। তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিকে আমরা অনেক বেশি উর্বর করব। সেখানে ইনকাম জেনারেশনের যে ব্যবস্থা রয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি ইনকাম করার জন্য একটি মাল্টিপল ইনপুট দেয়া হবে। পরিকল্পিতভাবে আমরা এগুলো করার চেষ্টা করছি। যার কারণে সমগ্র বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসবে। মন্ত্রী বলেন, একটা গ্রামকে চিহ্নিত করার জন্য বলেছি। যে গ্রামটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়া হবে। আমরা মানুষের যদি তার জীবনমানের উন্নতি করতে পারি, রোজগারের ব্যবস্থা করতে পারি, সে যদি মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা রোজগার করতে পারে, তাহলে তার জীবনমান উন্নত হবে। এ রকম একটা গ্রাম করব। এটার জন্য স্টাডি করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষকে অবহেলিত রেখে উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়, তাই গ্রামে শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে। তিনি বলেন, উন্নত জীবনের আশায় মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরে আসছে। আমরা যদি গ্রামে শহরের সব সুবিধা নিশ্চিত করি তাহলে মানুষ আর শহরে আসবে না। গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন কল-কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে।
×