ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লালমনিরহাটে ফসলের মাঠে কীটপতঙ্গ দমনে পার্চিং পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে

প্রকাশিত: ১৭:১৯, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

লালমনিরহাটে ফসলের মাঠে কীটপতঙ্গ দমনে পার্চিং পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ লালমনিরহাটে কৃষিতে লেগেছে প্রযুক্তি নানা দেশিও লাগসই পদ্ধতি। এমনি একটি কৃষি খেতে বালাই নাশক দেশিও লাগসই অর্গানিক পদ্ধতির পার্চিং পদ্ধতি। এই পাচিং পদ্ধতি আসলে প্রকৃতির বন্ধু ও সৌন্দর্য । নানা পাখিকে পোকা দমনে কর্মী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। পাখিরা ফসলের মাঠের ওপরে বসে খেতের পোকাকে ধরে ধরে খায়। এই সাফল্যে ফসলের জমিতে অগার্নিক ভাবে ফসল উৎপাদন বেড়েছে। কমেছে ফসলের মাঠে কীটপতঙ্গ দমনে রাসায়নিক ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার। এতে করে ফসল উৎপাদনে কীননাশক ব্যবহার হ্্রাস পেয়েছে। ফসল উৎপাদন খরচ অনেক কমে এসেছে। লালমনিরহাট জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৫টি উপজেলা লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম। এই উপজেলা গুলিতে ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌর সভা রয়েছে। পৌর সভা রয়েছে লালমনিরহাট সদর ও পাটগ্রাম সদর উপজেলায়। প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ধানক্ষেতে, সবজি খেতে ও নানা ফসলের ক্ষেতে লাগসই দেশিও পাচিং পদ্ধতিতে পোকা দমন কৃষকের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কৃষক দেশিও পার্চিং পদ্ধতি ফসলের মাঠে ব্যবহার করে সাফল্য পেয়েছে অনেক কৃষক। রাজশাহী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষেদের অধ্যাপক মোঃ রুহুল আমীন লিটন জানান, পাচিং পদ্ধতি বাংলাদেশের কৃসিতে নতুন কিছু নয়। অতীতে কৃষক কীটনাশকের অভাবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কীটপতঙ্গ দমন করে ছিল। কিন্তু বহুজাতিক কীটনাশক কোম্পানি গুলো তাদের মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের মাধ্যমে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষিতে আধুনিকতার নামে কীটনাশক ব্যবহার করতে ব্যাপক প্রচার চালায়। কীটনাশক ব্যবহারে কৃষক কে আগ্রহী করে তুলে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিষ্টিউট ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা কেন্দ্র কৃষিতে নানা সাফল্য এনে দিয়েছে। তারা কৃষিকে আধুনিক ও উচঁ ফলনশীল জাত আবিস্কার করেছে। করেছে নানা জাতের ধানের জাত আবিস্কার। এই প্রতিষ্ঠানটি কৃষিতে যখন তেমন আধুনিকতার ছোঁযা ছিল না। তখন কিভাবে কৃষক কীটনাশক বিহীন ফসল উৎপাদন করেছে। এসব গবেষণার ফল এই পাচিং পদ্ধতিতে কীটনাশক ছাড়াই পাখিকে ব্যবহার করে কীটপতঙ্গ মুক্ত ফসলের উৎপাদন করতে ভূমিকা রাখছে। বোরো জমিতে পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করুন। এতে খরচ কম। বিষ মুক্ত নিরাপদ ফসল উৎপাদন করা যায়। পাচিং পদ্ধতিতে ব্যবহার করা খুঁটি, ডালপালা, কঞ্চি পূনরায় কয়েক বার ব্যবহার করা যায়। পরে আবার এই খুঁটি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়লে তা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার ও বিক্রি করে প্রায় অর্ধেক অর্থের বেশি ফিরত পাওয়া যায়।
×