ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেনের পতন

প্রকাশিত: ২১:০১, ২৫ আগস্ট ২০২০

শেয়ারবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেনের পতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সারাদিনের ওঠানামা শেষে সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। দিনটিতে মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর দর কমলেও বেড়েছে স্বল্প মূলধনী কোম্পানির দর। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইতে শুরুতে লেনদেনের উর্ধমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচক কমতে থাকে। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এর পরই পরিস্থিতি বদলে যায়। লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। ফলে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক। একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৮১ পয়েন্ট কমে যায়। সেখান থেকে সূচক ফের উর্ধমুখী হয়ে দিনশেষে নিম্নমুখী হয়েছে। তবে শেষ দেড়ঘণ্টার লেনদেনে অংশ নেয়া কিছু প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ে। এতে বড় ধসের হাত থেকে রক্ষা পায় শেয়ারবাজার। অবশ্য এর পরও সূচকের বড় পতন হয়েছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, গত বৃহস্পতিবার ও রবিবার সূচকের উর্ধমুখী প্রবণতা থাকলেও বড় ধরনের ইতিবাচক প্রবণতা দেখাতে পারেনি। যার কারণে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার চাপ বেড়েছে। মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি আরও প্রবল আকারে দেখা গেছে। অপরদিকে জেড ক্যাটাগরি ও জাঙ্ক শেয়ারগুলোতে আগের তুলনায় ক্রেতা বেশি ছিল। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৭৬২ পয়েন্টে নেমে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১০৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সূচকের এই পতনের দিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৮৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩২টির এবং ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এই দরপতনের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয় ৯৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। সেই হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৪৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো’র। কোম্পানিটির ৫২ কোটি ৮২ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার ৪১ কোটি ৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২২ কোটি ৫৯ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ফার্মা, আইএফআইসি ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্র্যাক ব্যাংক ও বারাকা পাওয়ার। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৮৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬২টির এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
×