ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সাবমেরিন ক্যাবল মেরামত করে পুনঃসংযোগ স্থাপন

প্রকাশিত: ২৩:০৪, ১১ আগস্ট ২০২০

সাবমেরিন ক্যাবল মেরামত করে পুনঃসংযোগ স্থাপন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবৈধভাবে বালু ভরাট করে প্লট বিক্রির ব্যবসায়ীর খননযন্ত্রে সি-মি-উই-৫ ক্যাবল কাটা পড়ার মামলায় কুয়াকাটার পৌর মেয়রের ভাইসহ দুইজন গ্রেফতার হয়েছে। ক্য্যাবল কাটা পড়ার পর বিএসসিসিএল মামলা করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে। ক্যাবল কাটা পড়ায় ১৩ ঘণ্টা বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ধীর গতি ছিল। এতে রাষ্ট্রের বিপুল অঙ্কের ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পুলিশ রবিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। কলাপাড়া থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা মেজবাহউদ্দিন মাননু জানিয়েছেন, কলাপাড়ার আমখোলায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল লাইন কাটা পড়ার ঘটনায় কুয়াকাটা পৌর মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লার ভাই আবুল হোসেন মোল্লা ও হাজী আবুল হোসেন নামের অপর একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে মহিপুর থানা পুলিশ এ দুইজনকে আটক করে। এরা দু’জন হাউজিং কোম্পানি সেভেন স্টার গ্রুপের সদস্য। এ ঘটনায় কলাপাড়া সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা হারুন-অর-রশীদ মহিপুর থানায় একটি মামলা করেন। মহিপুর থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ মামলায় পাঁচ জনকে আসামিসহ অজ্ঞাত তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টার দিকে কলাপাড়ার আমখোলা পাড়া সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে আলীপুর বন্দরের কাছে ওই ক্যাবল কাটা পড়ে। ফলে ইন্টারনেটে গতির সমস্যা দেখা দেয়। তবে রবিবার রাত ১২টা ১৭ মিনিটে কাটা ক্যাবল মেরামত করে ইন্টারনেট লাইনের সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। বিএসসিসিএল এমডি মশিউর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে সমুদ্র উপকূল থেকে সাড়ে ৬ কিলোমিটার ভেতরে। সমুদ্র থেকে ল্যান্ডিং স্টেশন পর্যন্ত কেবল আসার জায়গাটি চিহ্নিত করে দেয়া আছে। চিহ্নিত এলাকা কেপিআই হিসেবে ঘোষণা করা আছে। এরপরও ‘সেভেন স্টার’ নামে একটি বেসরকারী হাউজিং কোম্পানি কেপিআই এরিয়াকে কোন তোয়াক্কা না করে উন্নয়ন কাজ করছিল। সেখানে ‘স্ক্যালেটর’ দিয়ে মাটি কাটছিল। তিন মিটার মাটির নিচ দিয়ে পাওয়ার ক্যাবল ও ইন্টারনেট কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনে যুক্ত হয়েছে। ওই হাউজিং কোম্পানি তিন মিটার নিচ থেকে পুরো ক্যাবল তুলে নিয়ে আসে। প্রথমে পাওয়ার ক্যাবল কেটে গেলে আগুন ধরে যায়। পরে ইন্টারনেট ক্যাবল ছিঁড়ে পড়ে। এমন একটি বড় ঘটনার পরও তারা মাটি কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। এ ঘটনার পর ল্যান্ডিং স্টেশনের সব বাতি নিভে যায়। সেখানে থাকা ইঞ্জিনিয়াররা প্রথম দিকে বিষয়টি বুঝতে পারেননি। পরে তারা ঢাকায় যোগাযোগ করেন। ঢাকা থেকে বিষয়টি জানার জন্য সমুদ্র থেকে যে ক্যাবল উঠে এসেছে ল্যান্ডিং স্টেশনে সেই জায়গা পরিদর্শন করার নির্দেশ দেয়া হয়। পরে দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা ক্যাবল মেরামত কাজ করে মধ্য রাতের দিকে ইন্টারনেট স্বাভাবিক হয়। এই ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ৮ শ’ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ সরবরাহ হচ্ছে।
×