ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী তরুণকে হয়রানি দেশে-বিদেশে সমালোচনা

প্রকাশিত: ০০:১৫, ২৮ জুলাই ২০২০

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী তরুণকে হয়রানি দেশে-বিদেশে সমালোচনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী তরুণ রায়হান কবিরকে গ্রেফতার ও হয়রানির ঘটনায় দেশে-বিদেশে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। মালয়েশিয়ার আইনজীবীদের সংগঠন লইয়ারস ফর লিবার্টি-এলএফএল বলছে, রায়হানের বিপক্ষে যেভাবে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা নিপীড়নমূলক। এলএফএল বলছে, তারা আলজাজিরার প্রতিবেদনটা দেখেছে। এই প্রতিবেদনে রায়হানের বক্তব্যটি তারা তলিয়ে দেখেছেন। সেখানে খুব সূক্ষ্মভাবে বিচার করলেও মালয়েশিয়ার আইনের কোন রকম লঙ্ঘন ঘটেনি। এখানে কেবল অভিবাসীদের ওপর দুর্ব্যবহারের ব্যাপারে তার হতাশার কথা ব্যক্ত করেছিলেন রায়হান। এর আগেই মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক খাইরুল দায়াইমি দাউদ দেশটির অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩-এর অধীনে তদন্তের প্রেক্ষিতে গত ৭ জুলাই থেকে রায়হানের গতিবিধির ওপর নজরদারি এবং এ প্রেক্ষিতে তাকে আটকের কথা বলেছিলেন। পুলিশের মহাপরিদর্শক আব্দুল হামিদ বদর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, রায়হানের ওয়ার্ক পারমিটও প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। এলএফএল বলছে, যেভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে এবং ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করেছে সেগুলো অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩-এর ৯(১) (সি) ধারার পরিপন্থী, অর্থাৎ অনথিভুক্ত। কারণ কেউ যদি রাষ্ট্রবিরোধী কোন কিছু বলে তবেই কারও ওয়ার্ক পারমিট বাতিল হতে পারে। কিন্তু রায়হান এমন কিছু বলেনি। কাজেই তার বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে এই সাজা কিছুতেই টিকবে না। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, রায়হান কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সরকার অভিবাসীদের উদ্দেশে এই বার্তা দিতে চায় যে, কেউ যেন প্রতিবাদ না করে। অন্যদিকে আলজাজিরা বলছে, রায়হান কবিরের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইনের অপব্যবহার হচ্ছে। তারা এই ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে বলেছে। আলজাজিরা বলছে, মালয়েশিয়া তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে, এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন শুরুর আগে তাদের অনুমতি নেয়া হয়নি বলে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটিও অকার্যকর। কারণ আলজাজিরার এমন প্রতিবেদন করতে কোন অনুমতির দরকার নেই। কাজেই এই ধরনের হয়রানি বন্ধ করা উচিত।
×