ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনা-মংলা সড়ক বেহাল

প্রকাশিত: ০০:৫৫, ২২ জুলাই ২০২০

খুলনা-মংলা সড়ক বেহাল

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ খুলনা-মংলা মহাসড়কের বেলাই সেতু থেকে বন্দর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়ক এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খানাখন্দে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। ফলে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মংলায় পণ্য পরিবহন ও যাতায়াত অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ সড়কের বেলাই সেতু থেকে মংলার দিগরাজ পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং দিগরাজ থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন। এই ১০ কিলোমিটার সড়কে অধিকাংশ স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকি নিয়েই এ রাস্তায় চলাচল করছে হাজার হাজার যানবাহন। এ কারণে দুর্ঘটনা লেগেই আছে। ব্যবসায়ী হেমায়েত উদ্দিন বলেন, ‘মহাসড়কটির এই অংশ খানাখন্দে ভরা। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে আমাদের চলাচলে খুব সমস্যা হয়। পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে যায়। অনেক সময় পণ্য বোঝাই ট্রাক বা কাভার্ডভ্যান আটকে যায়। সৃষ্টি হয় জানজটের। পণ্য পরিবহনের সময়ও বেশি লাগে। এতে করে ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়ে যায়।’ গাড়ি চালক মিজানুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এক ট্রিপের পর আর গাড়ি চালানো যায় না। সড়কটির এতই খারাপ অবস্থা যে, একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই পণ্যসহ যাহবাহনগুলো দুর্ঘটনায় পড়ে। প্রতিবছর এই কয়েক কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিম কাওসার বলেন, ‘খুলনা-মংলা মহাসড়কের বেলাই সেতু থেকে দিগরাজ পর্যন্ত সড়কটি মাত্র ২২ ফুট চওড়া। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। এর মধ্যে পণ্যবাহী যানবাহনই বেশি। অধিকাংশ পণ্যবাহী পরিবহনের ওভারলোডের কারণে সড়কে অতিরিক্ত চাপের সৃষ্টি হয়। ফলে নতুন করে মেরামতের পরও দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সড়টিকে যানবাহন চলাচলের উপযোগী রাখতে রাতদিন ৪০ শ্রমিক কাজ করছে। বর্ষার কারণে বিটুমিনের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই সোলিং এইচবিবি’র কাজ (ইটের সোলিং) চলছে। ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক মৃত্যুকূপ নিজস্ব সংবাদদাতা ঠাকুরগাঁও থেকে জানান, সদর পৌরসভার আক্চা মুন্সিপাড়া ও সামস্নগরসহ আরও ৫টি এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক কাম স্থানীয় শুক নদীর তীর রক্ষা বাঁধটিতে বর্ষার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় তা ধসে গিয়ে গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে এলাকাবাসীর যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি ভেঙ্গে পড়ায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটায় তারা আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছেন। স্থানীয়রা সড়কটিকে মৃত্যুকূপ হিসেব চিহ্নিত করেছেন। এলাকাবাসী জানান, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির ফলে এই সড়কটি ধীরে ধীরে ভেঙ্গে পড়তে শুরু করলে বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সড়ক বিভাগকে জানানো হয়। কিন্তু কেউ এরদিকে নজর না দেয়ায় সড়কটি ভেঙ্গে সেখানে মৃত্যুকূপের ন্যায় গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সে সড়কটি দিয়ে শিশু, কিশোর, বৃদ্ধসহ প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এবং বেশ কয়েকটি হাসকিং মিলের মালবাহী ট্রাক যাতায়াত করছে। সড়কটি ধসে পড়ায় হাসকিং মিলগুলো কোন খাদ্যশস্য পরিবহন করতে পারছে না। প্রায় একমাস ধরে সমস্যাটি ধীরে প্রকট আকার ধারণ করলেও সে সমস্যা সমাধানে এ পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেনি। পানি উন্নয়ন র্বোড ও পৌর কর্তৃপক্ষ একে ওপরের ওপর দায় চাপিয়ে সবাই নীরব ভূমিকা পালন করছে। এ বিষয়ে পৌর কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাঁধ ধসে যাওয়ার কারণে সড়ক ভেঙ্গে পড়ার খবর তিনি শুনে সরেজমিনে দেখতে গিয়েছিলাম। ভেঙ্গে পড়া অংশটি শুধু সড়ক নয় সেটি স্থানীয় নদীর তীর রক্ষা বাঁধ।
×