ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ড্রাগন ফলের বাগান

প্রকাশিত: ১৯:০৩, ১০ জুলাই ২০২০

নওগাঁয় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ড্রাগন ফলের বাগান

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ অধিক পুষ্টিগুন সম্পন্ন বিদেশী ফল ড্রাগন। বর্তমানে নওগাঁর রাণীনগরে বিভিন্ন বাগানে উৎপাদিত ড্রাগন ফল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চালান হচ্ছে। তাই দিন দিন অত্যন্ত লাভজনক এই বিদেশী ফলের বাগানের পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুখরোচক, রসালো, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের উপকারি ড্রাগন ফল চাষে ঝুঁকছেন উপজেলার কৃষকরা। বর্তমানে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া দেশে এই ফল অত্যন্ত জনপ্রিয় ও প্রধান খাবারের অংশে স্থান করে নিয়েছে। যে কেউ এই ফলের বাগান তৈরি করতে পারেন। বাংলাদেশে এই বিদেশী ফল চাষে উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন কৃষি বিভাগ। একটি ড্রাগন ফলের গাছ ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে এবং বছরে ৬মাস ফল দেয়। সাধারণত মে মাসে গাছে ফুল আসে এবং ফুল আসার ৩৫ দিনের মধ্যেই এই ফল খাওয়ার উপযোগি হয়। উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে এই ফল বিদেশে রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করাও সম্ভব। রানীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় দিন দিন এই বিদেশী ড্রাগন ফল চাষের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে উপজেলার ৪.৫ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের বাগান তৈরি করা হয়েছে। উদ্বুদ্ধ কৃষকদের কৃষি অফিস ড্রাগনের চারা থেকে শুরু করে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। জমিতে বার বার একই ফসল চাষ করার অভ্যাস থেকে কৃষকদের ফিরিয়ে এনে অধিক লাভজনক ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি অফিস কাজ করে আসছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম জানান, ২০১২সাল থেকে উপজেলাতে ড্রাগন ফল চাষের নীরব বিপ্লব শুরু হয়। এখন ড্রাগন উপজেলার কৃষকদের কাছে একটি লাভজনক ফলের নাম। প্রতিদিনই কৃষকরা কৃষি অফিসে এসে ড্রাগন ফল সম্পর্কে জেনে যাচ্ছেন। এছাড়াও এই বাগান তৈরিতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চারা সরবরাহ থেকে শুরু করে সরকারি ভাবে সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও বাগান মালিকদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ প্রদান ও খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। আশা রাখি একদিন দেশের মধ্যে রাণীনগর উপজেলা ড্রাগন ফল চাষে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
×