ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

অবরুদ্ধ সময়ে তিন শ’ শিল্পীর সম্মিলনে আর্ট ক্যাম্প

প্রকাশিত: ২৩:৩৫, ১০ জুলাই ২০২০

অবরুদ্ধ সময়ে তিন শ’ শিল্পীর সম্মিলনে আর্ট ক্যাম্প

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবরুদ্ধ সময়ে চমৎকার এক আয়োজন। রংতুলিতে ভর করে দুঃসময়ে অনুপ্রাণিত হওয়ার প্রয়াস। শিল্প সৃষ্টির তাগিদে ঘটেছে শতাধিক শিল্পীর সম্মিলন। সবাই মিলে রাঙিয়ে তুলছেন ক্যানভাস। উদ্ভাসিত হবে বিচিত্র বিষয়ের চিত্রকর্ম। এই চিত্রকরদের কেউ ছবি আঁকছেন ঘরে বসে। অনেকেই আবার চিত্রকর্ম সৃজন করছেন শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা প্লাজায়। সব মিলিয়ে ৩০০ শিল্পীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আর্ট ক্যাম্পটি। বরেণ্য থেকে প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীরা অংশ নিচ্ছেন এই চিত্রশিবিরে। ছবি আঁকার বিনিময়ে সকল শিল্পীকে দেয়া হচ্ছে সম্মানী। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ‘আর্ট এগেইনস্ট করোনা’ শীর্ষক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই আর্ট ক্যাম্প। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর পরিকল্পনায় একাডেমির চারুকলা বিভাগের আয়োজনে বুধবার থেকে শুরু হওয়া আর্ট ক্যাম্পটি চলবে ২০ জুলাই পর্যন্ত। ছবি আঁকা শেষ হলে শিল্পীরা ছবিগুলো জমা দেবেন একাডেমিতে। পরবর্তীতে মহামারীজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেসব চিত্রকর্ম নিয়ে ক্যাটালগ প্রকাশের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হবে প্রদর্শনী। এছাড়া সেই প্রদর্শনী থেকে বিক্রিত ছবির অর্থ প্রদান করা হবে স্ব স্ব শিল্পীদের। এই আর্ট ক্যাম্পে অংশ নিয়েছেন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ চিত্রশিল্পী রিফাত জাহান কান্তা। এই শিল্পী জনকণ্ঠকে বলেন, এ ধরনের আয়োজন আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ধরা দিয়েছে। আঁকাআঁকির মাধ্যমে নিজেদের চাঙ্গা রাখার পাশাপাশি মানসিক একটা প্রশান্তি অনুভব করছি। তাই আমরা অনেকেই বাসার পরিবর্তে সরাসরি একাডেমির চিত্রশালা প্লাজার বিভিন্ন গ্যালারি বা স্টুডিওতে এসে ছবি আঁকছি। বিস্তৃত পরিসর থাকায় সামাজিক দূরত্ব মেনেই চলছে আমাদের আঁকাআঁকি। ক্যাম্পে অংশ নেয়া সকল শিল্পীকে সম্মানী দেয়া হচ্ছেÑএটাও ভাল লাগছে। ভবিষ্যতে প্রদর্শনী হলে আর ভাল লাগবে। ৮ জুলাই সূচনা হওয়া আর্ট ক্যাম্পে অংশ নেয়া শিল্পীরা ২০ জুলাইয়ের মধ্যে একাডেমির চারুকলা বিভাগে শিল্পকর্ম জমা দেবেন। ক্যাম্পটির মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছেন প্রখ্যাত শিল্পী জামাল আহমেদ। এছাড়া সমন্বয়কারী হিসেবে রয়েছেন শিল্পী নাজমা আক্তার, কামাল পাশা চৌধুরী ও সনজীব দাস অপু। এ বিষয়ে জামাল আহমেদ বলেন, দেশের সকল আন্দোলন-সংগ্রামসহ দুর্যোগে ভূমিকা রেখেছে শিল্পীরা। সেই সুবাদে মহামারীর এই সময়েও শিল্পীরা বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। অনেকেই নিজেদের শিল্পকর্ম বিক্রির অর্থ নিয়ে দাঁড়াচ্ছেন অসহায় মানুষের পাশে। ‘আর্ট এগেইনস্ট করোনা’ শীর্ষক কর্মসূচীর অন্তর্ভুক্ত এই আর্ট ক্যাম্পটিও এক ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন। খেলাঘরের স্মরণে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ॥ চেতনার বাতিঘর জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে স্মরণ করবে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় খেলাঘরের ফেসবুক লাইভে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় সাজানো হয়েছে আয়োজন। খেলাঘরের বন্ধুরা নিবেদন করবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডাঃ সারওয়ার আলী। সভাপতিত্ব করবেন খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিম-লীর চেয়ারম্যান অধ্যাপক পান্না কায়সার।
×