ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ঝালকাঠিতে এক পরিবারকে জিম্মি করে বাড়ির দুদিক দিয়ে রাস্তা নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ২২:০৫, ২ জুলাই ২০২০

ঝালকাঠিতে এক পরিবারকে জিম্মি করে বাড়ির দুদিক দিয়ে রাস্তা নেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি, ১ জুলাই ॥ কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের পানজিপুথিপাড়া গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে বসতবাড়ির দুদিক দিয়ে রাস্তা নিয়ে একটি পরিবারকে হয়রানি ও উচ্ছেদের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। গ্রামের মকবুল হোসেন তার প্রতিবেশী ও স্বজন মিজানুর রহমান এবং হেমায়েত মিয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন। এ বিষয়ে মকবুল হোসনে বলেন, ইতোপূর্বে আমার বসতবাড়ির পূর্বদিকের গাছপালা জোরপূর্বক কেটে হেমায়েত মিয়া লোকজন নিয়ে ১০ ফুট চওড়া রাস্তা নেয়। যদিও হেমায়েতের বাড়ির সঙ্গে মিজানুর রহমানের বাড়ির ৬ ফুট চওড়া রাস্তা আগেই ছিল। এ রাস্তা দুটি মৃত মিলন মেম্বার জীবিত থাকা অবস্থায় সরকারী বরাদ্দে নির্মাণ করে দেয়। সম্প্রতি মকবুল হোসেনের বাড়ির পশ্চিম দিকের জমির গাছপালা কেটে আরেকটি রাস্তা করার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। মকবুল হোসেন জানান, তিনি এতে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। ২০১২ সালে হেমায়েত তার লোকজন নিয়ে মকবুলের বাড়ির পশ্চিম পাশ থেকে রাস্তা নেয়ার জন্য গাছপালা কেটে ফেলে। তখন মকবুল ও তার স্বজনরা বাধা দিলে হেমায়েত লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। এতে মকবুল হোসেনের পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত জখম হয়। এ ঘটনায় থানায় মকবুল হোসেন বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ তদন্ত করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। ৭ বছর মামলটি চলমান থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালে ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় মকবুল হোসেনের বাড়ির পূর্ব দিকের রাস্তাটি ঠিক রেখে সালিশ করেন। এ সময় মকবুল হোসেন বাড়ির পশ্চিম পাশে আরেকটি রাস্তার দাবি অবৈধ এবং তাতে চেয়ারম্যানের অসম্মতি জানিয়ে উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিচারাধীন মামলাটি আদালত থেকে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করেন। এর কমাস পরেই আবার হেমায়েত মিয়া মকবুল হোসেনের বসতবাড়ির পশ্চিম দিকের রাস্তা নির্মাণের পাঁয়তারা শুরু করে বলে মকবুলের অভিযোগ। এ বিষয়ে হেমায়েত মিয়া জানান, মকবুলের পশ্চিম পাশে খাল ও খালেরপাড় সরকারী সম্পত্তি। সরকার সেখান থেকে রাস্তা নিলে আমাদের কিছুই করার নেই। খালপাড়ের জমির পর মকবুলের বাড়ির জমি।
×