হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) চারপাশে তাকিয়ে বড় করে শ্বাস নিলেন চিকিৎসক, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রথম এই শান্ত পরিবেশে যেন হাফ ছাড়লেন তিনি। নিউইয়র্কে ডাঃ সামির ফারহাতের এই হাসপাতাল ছিল যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রে। এখন সেখানকার আইসিইউ প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে এবং শহরটিও কখন স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবে সেই অপেক্ষায় আছেন এই চিকিৎসক। বিবিসি।
মাউন্ট সিনাই ব্রুকলিনে একজন ফিজিশিয়ান হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি নিউইয়র্ক কমিউনিটি হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সামলানো ডাঃ ফারহাত বলেন, ‘সাধারণত ট্রাম্পের সঙ্গে আমার মতের মিল হয় না। কিন্তু আমার মনে হয় ১৫ মে আমাদের সব কিছু খুলে দেয়া উচিত।’ নিউইয়র্ক গবর্নরের তিন ধাপে লকডাউন তোলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগামী সপ্তাহ থেকেই বিধি-নিষেধ শিথিল হতে শুরু করবে, যে বিধি-নিষেধের বেড়াজালে কয়েক মাস ধরে অচল হয়ে আছে ‘বিগ এ্যাপল’ খ্যাত এই শহর। তবে ডাঃ ফারহাতসহ নিউইয়র্কের অন্যান্য হাসপাতালের যেসব চিকিৎসকের সঙ্গে ব্রিটিশ সংবাদপত্র টেলিগ্রাফের কথা হয়েছে তারা সবাই সামনের কাতারে থেকে করোনাভাইরাস সঙ্কট মোকাবেলার অভিজ্ঞতা থেকে আর বিলম্ব না করে নিউইয়র্ককে পুরোপুরি সচল করার কথা বলেছেন। হাসপাতালে নতুন রোগী আসা কমে যাওয়ার তথ্য তুলে ধরে ডাঃ ফারহাত বলেন, ‘এখন সব কিছু খুলে দিলে যে ঝুঁকি হবে তা আমাদের নেয়া উচিত।’ শ্বাসতন্ত্রের রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফারহাত উদ্বিগ্ন যে, এই সময়ে তীব্র হাঁপানি, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের রোগী আসছে না সাধারণত যেগুলো তার জরুরী বিভাগের শয্যা দখল করে রাখত।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: