ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১০:৫৩, ২৪ এপ্রিল ২০২০

উবাচ

মাস্ক পেয়ে মহাখুশি স্টাফ রিপোর্টার ॥ চায়না কমিউনিস্ট পার্টি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য অনুদান হিসেবে বিএনপিকে মাস্ক পাঠিয়েছে। এই মাস্ক নিতে বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকায় চীনা দূতাবাসে গেছেন। সেখান থেকে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছেন। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ নিয়ে পত্রপত্রিকাকে বিবৃতি পাঠিয়েছেন। সুযোগ সীমিত বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনটি করতে পারেননি। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চীন বিএনপিকে বিপুল পরিমাণ মাস্ক পাঠিয়েছে। সেগুলো কিভাবে আনা হয়েছে, কারা এনেছে এইসব। বেশ কিছু দিন ধরে সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল গুটিকয়েক প্যাকেট ত্রাণ নিয়ে বিএনপি ফটোসেশন করে বেড়াচ্ছে। তবে বিএনপি এবার প্রমাণ করে দিয়েছে তারা শুধু দেয়ার সময় নয়, নেয়ার সময়ও ছবি তুলতে বিশেষ পারদর্শী। আবার বিএনপির খুশিতে গদগদ হয়ে প্রচারের ঘটা থেকে মনে হয়েছে চায়না কমিউনিস্ট পার্টি শুধু তাদেরই ভালবেসে মাস্ক পাঠিয়েছে। কিন্তু সংবাদ মাধ্যম ঘেঁটে দেখা গেল শুধু তাদের নয়, ছোট ছোট দলকেও এই অনুদান পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, মাস্ক পাঠানোতে চায়না কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ যথেষ্ট হলেও দেশের এই প্রচার প্রচারণা একটু বেশিই মনে হয়েছে। না বুঝেই! স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ করার জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওই নির্দেশনার পর আন্তর্জাতিক স্বচ্ছতা পরিমাপক প্রতিষ্ঠান টিআইবি এবং বিএনপি এর প্রতিবাদ করল। টিআইবির পক্ষ থেকে বলা হলো আওয়ামী লীগের ত্রাণ কমিটি যেন প্রশাসনের ওপর খবরদারি না করে। অন্যদিকে বিএনপির ভাবখানা এমন তাদের দিয়ে ত্রাণ দিলে তো তারা তারাই পাবে। কিন্তু সরকারি ত্রাণ বিতরণের একটি পদ্ধতি রয়েছে। এত বড় সংগঠন হিসেবে টিআইবির যেমন বিষয়টি বোঝা উচিত ছিল তেমনি সরকার চালিয়ে আসা দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিও বিষয়টি জানে। সরকারী ত্রাণ জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে দুর্যোগ এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয় বিতরণ করে। এর বাইরে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয় যে খাদ্য সহায়তা দেয় তাও নির্দিষ্ট নীতিমালা মেনেই করা হয়। এখানে দলীয় বিবেচনায় কারও কাছে ত্রাণ দেয়ার কোন সুযোগ নেই। টিআইবি এবং বিএনপি না বুঝেই এই মন্তব্য করায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারী ত্রাণ বিতরণে এই কমিটির যে কোনো ভূমিকা নেই, সেটি না বুঝে তড়িঘড়ি করে বিবৃতি দিয়ে টিআইবি ও রিজভী সাহেব দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেননি বরং চরম দায়িত্বহীনতারই পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে ত্রাণ দেবে তাই বিতরণ করবে এরা। প্রমাণ দিন ব্যবস্থা নেব স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সরকার সব বিত্তবানদের মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে ত্রাণ বিতরণ করতে চাইলে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বিতরণ করতে। পুলিশের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ দিতে। কিন্তু বিএনপি এসবের ধার ধারছে না। ফলে তারা ত্রাণের সঙ্গে করোনাভাইরাসও বিতরণ করছে না এটি জোর দিয়ে বলা যাবে না। করোনাভাইরাস ছড়ানো থেকে বাঁচতে বিএনপিকে প্রশাসনের তরফ থেকে এমন পরামর্শ দিলে খুব গোস্সা করছে। অভিযোগ করছে তাদের নাকি ত্রাণ বিতরণে বাধা দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছে বিএনপি। এর প্রতিক্রিয়াতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ত্রাণ দেয়ায় বাধা দেয়া হয়েছে, এর তথ্য-প্রমাণ দিতে পারলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেছেন, কে বাধা দিয়েছে? কোথায় বাধা দিয়েছে? তথ্য-প্রমাণ দিন। এ অমানবিক কাজ যারা করছে বা যারা করে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এটা নিঃসন্দেহে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু বিএনপি সেই তথ্য প্রমাণ নিয়ে হাজির হয়েছে বলে জানা যায়নি।
×