ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় আর্থিক সঙ্কটে এফডিসি, অনুদান দাবি

প্রকাশিত: ১০:২৪, ২৪ এপ্রিল ২০২০

করোনায় আর্থিক সঙ্কটে এফডিসি, অনুদান দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের কারণে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা পৃথিবী। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। মিল-কলকারখানা থেকে শুরু করে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি)। সঙ্কটের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মার্চ মাসের বেতন এখনও পরিশোধ করতে পারেনি এফডিসি। এজন্য বেতনসহ অন্য ব্যয় মেটাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ২১ কোটি টাকা অনুদান চেয়েছে লোকসানের মুখে থাকা এ সংস্থাটি। এফডিসির নিজস্ব তহবিলে কোন অর্থ না থাকায় ২৬১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মার্চ ও প্রায় শেষ হতে চলা এপ্রিলের বেতন পরিশোধ করতে অনুদানের ওপরই পুরোপুরি নির্ভর করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নুজহাত ইয়াসমিন। এফডিসির নিজস্ব আয় ও অল্প কিছু অনুদানের অর্থে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মীদের বেতন পরিশোধ করা হলেও এখন তাদের আর আর্থিক সামর্থ্য নেই বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বলেন, আগের বেতনগুলো নিজস্ব আয় থেকে দেয়ার চেষ্টা করেছি। মাঝখানে একটি অনুদানও পেয়েছিলাম তিন কোটি টাকার। সেখান থেকে ও আমাদের আয় দিয়ে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেতন দিতে পেরেছি। মার্চ থেকে আর পারছি না। পুরোটাই এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের ওপরে আমাদের নির্ভর করতে হচ্ছে। বেতন না পাওয়ায় নিরাপত্তাকর্মী, ক্লিনারসহ এফডিসির তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা আর্থিক সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কলাকুশলী ও কর্মচারী লীগের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক আহসান। আগামী দশ দিনের মধ্যেও বেতন পাওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখছেন না বলে জানান তিনি। এর মধ্যে এপ্রিলও প্রায় শেষের পথে। কবে নাগাদ বেতনাদি হতে পারে-এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকও নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি। অনুদানের অপেক্ষায় থাকার কথা জানালেন তিনি। প্রতি বছরই এফডিসির আর্থিক ঘাটতি পড়ে। ঘাটতি মেটাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ২১ কোটি টাকার অনুদানের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৩ মার্চ মন্ত্রণালয় থেকে কিছু তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়েছিল। তবে অফিস বন্ধ থাকায় তা দেয়া সম্ভব হয়নি; বৃহস্পতিবার তা পাঠিয়ে দিয়েছি। আবেদনটি পাওয়ার পর পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এর আগেও এফডিসিতে তিনবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের কাছে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেগুলো পাঠানোর পর দেখব, কী করা যায়। কবে নাগাদ অনুদান পাওয়া যেতে পারে-তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ কর্মকর্তা। এফডিসিতে ‘ইকুইটি’ হিসেবে এ অর্থ দেয়া হয় বলে জানান তিনি। ইক্যুইটি মানে অনুদান হিসেবেই এ অর্থ দেয়া হয়। আমরা যেহেতু অটোনোমাস বডিকে অনুদান দিতে পারি না। সে কারণে ইক্যুইটি হিসেবে দেয়া হয়। যার ফলে এফডিসিতে সরকারের শেয়ার বাড়ল।
×