ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুজিববর্ষের বিশেষ ধারাবাহিক ‘একটি গ্রাম একটি শহর’

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ১৫ মার্চ ২০২০

মুজিববর্ষের বিশেষ ধারাবাহিক ‘একটি গ্রাম একটি শহর’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ থেকে বৈশাখী টিভিতে প্রচার শুরু হচ্ছে দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘একটি গ্রাম একটি শহর’। নাটকের মূল গল্প বৈশাখী টেলিভিশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন। গল্পের চিত্রনাট্য জাকির হোসেন উজ্জল এবং নাটকটি পরিচালনা করছেন এস এম শাহীন। নাটকটি প্রতি সপ্তাহে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় প্রচার হবে। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন, সাজু খাদেম, নাদিয়া আহমেদ, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, মীর শহীদ, ফারুক আহমেদ, করভী মিজান, ফজলুর রহমান বাবু, ফরজানা ছবি, শামীমা নাজনীন, নাবিলা ইসলাম, সোহান খান, রহমত আলী, সঞ্জীব আহমেদ, সায়কা আহমেদ, দিলু মজুমদার, তানবির মাহমুদ, ইমেলা হক, ফরজানা রিক্তা, সুস্মী আহমেদ, এস এফ নাঈম, আইনুন পুতুল, ক্রিটিকা, মাসুম বাসার, মিলি বাসার, মিতিল ফারুক, জুলফিকার চঞ্চল, হিমে হাফিজ, সাদমান প্রমুখ। নাটকের কাহিনী প্রসঙ্গে টিপু আলম মিলন বলেন, মূলত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঘোষিত গ্রাম হবে শহর সেøাগানকে উপজীব্য করেই ‘একটি গ্রাম একটি শহর’ নাটকের কাহিনী। কতটা সফল হতে পেরেছি সে বিচারের ভার বৈশাখী টিভি দর্শকদের। তবে শহর গ্রামের মিশেলে এ নাটকটি দর্শদের ভাল লাগবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ গ্রাম প্রধান দেশ। ৮৫ হাজার গ্রামের একটি গ্রাম কুসুমপুর। হাবুল, কাবুল ও জয়নাল কুসুমপুর গ্র্রামে আছে যে যার মতো। গ্রাম্য জীবনযাত্রায় সহজেই মানিয়ে নিয়েছে তারা। সকাল বেলা সূর্য ওঠার পর কারও সঙ্গে দেখা হলে একে অপরে কুশলবিনিময় করে। গ্রামের তাজা শাকসবজি, ফলমূল আর খাল বিলের মাছ তাদের সুস্থ রাখে। গ্রাম্য সহজ সরল জীবনযাত্রা আর প্রকৃতির ঘনিষ্ঠতায় তারা একেকজন যেন মাটির মানুষ। অন্যদিকে ইট পাথরে তৈরি আধুনিক শহরের ব্যস্ত জীবন যেন পাথরের মতোই কঠিন। প্রতিটি বাড়ি যেন এক একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। কারও সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই। যোগাযোগ থাকলেও সেটা একবারেই লোক দেখানো। যে যার মতোই থাকতে পছন্দ করে। ফলে তাদের পরিবারে কোন বন্ধন গড়ে ওঠে না। শহরের কেমিক্যাল দেয়া রং মেশানো শাকসবজি আর ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের মতো তাদের সম্পর্কেও কৃত্রিমত্তা চলে আসে। এখানে সন্তানের কাছে পিতামাতা, পিতামাতার কাছে সন্তান তাই এক সময় বোজা হয়ে যায়। সন্তান বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, পিতামাতাকে আশ্রয় নিতে হয় বৃদ্ধাশ্রমে। এই শহরের মানুষগুলো যখন গ্রামে আসে তাদের কাছে সবকিছুই তখন নতুন বলে মনে হয়। শহরের চাকচিক্যময় জীবনের বাইরে তাদের কাছে অবাস্তব বলে মনে হয় গ্রাম্য জীবন। আবার গ্রামের মানুষগুলো শহরে এলে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। আত্মীয়তার বন্ধন যেখানে একেবারেই অনুপস্থিত। গ্রামের পরতে পরতে গ্রাম ও শহরের বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে এ নাটকে। তুলে ধরা হয়েছে যত বিরোধ ও বদলে যাওয়া শহুরে মানুষের উপাখ্যান।
×