ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খাল দখল ও দূষণ রোধে কোন শৈথিল্য নয় ॥ তাজুল

প্রকাশিত: ১১:৩৪, ৫ মার্চ ২০২০

খাল দখল ও দূষণ রোধে কোন শৈথিল্য নয় ॥ তাজুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খাল দখল ও দূষণ রোধে এবং মশক নিধন কার্যক্রমে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কোন প্রকার শৈথিল্য বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি। বুধবার মিরপুরের রূপনগর এলাকায় আধুনিক যন্ত্রপাতি রোড সুপার ও জেড সাকার ব্যবহারের মাধ্যমে রোড সুইপিং এবং ড্রেন পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন, রূপনগর খাল পরিদর্শন এবং বিশেষ মশক নিধন কর্মসূচী ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে আয়োজিত মশক নিধন কার্যক্রমে ডিএনসিসির নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমিতাভ সরকার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এম মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ। এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি মশা বেড়ে যাওয়ায় তা নিধনে আমরা গুরুত্ব সহকারে কাজ করছি। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের স্ব-স্ব ওয়ার্ডের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে। মশক নিধনের জন্য পর্যাপ্ত কীটনাশক মজুদ আছে, পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও লোকবলও দেয়া হয়েছে। মশক নিধনে সিটি কর্পোরেশনকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে কার্যক্রম ফলোআপ করছি। মন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। রূপনগর খালটি পর্যবেক্ষণ করেছি। খাল দখল বা দূষণ রোধে কোন রকম শৈথিল্য বা দায়িত্বহীনতা বরদাশত করা হবে না। এটি পরিষ্কার করার পরে খনন করার জন্য ওয়াসাকে নির্দেশ দিয়েছি। এ কাজে একদিনও সময়ক্ষেপণ মেনে নিব না। তাজুল ইসলাম বলেন, কেন মশা বাড়ছে সেই কারণগুলো চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশ্বের কোন দেশই মশা মুক্ত নয়। মশা এখন গ্রো হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাই আমরা গুরুত্ব সহকারে কাজ করছি সবাই। তিনি বলেন, গত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে সাধারণ মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে, আমরাও কাজ করে যাচ্ছি, আগামীর জন্য প্রস্তুতিও নিয়েছি। মন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবী সময় সময় ওষুধ চেঞ্জ করে। এই ওষুধগুলোর মাধ্যমে মশক ধ্বংস করা হয়। তাই এমন কোন ওষুধ ছেটানো যাবে না, যেটা মানুষের ক্ষতি হতে পারে। তাই ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের অনুমতি সাপেক্ষে ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। আমরা ইচ্ছে করলেই যে কোন ওষুধ ব্যবহার করতে পারব না। পরিদর্শনকালে নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সুইপিং মেশিন, জেড এ্যান্ড সাকার মেশিন এনেছি। মন্ত্রীও নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত এসব কাজ করার জন্য। মশা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিভাবে আমরা মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।
×