ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

জনবলের অভাবে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা ব্যাহত

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 জনবলের অভাবে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা ব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স নানা সমস্যায় জর্জরিত। উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ চিকিৎসা সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জনবলের অভাবে অনেককে সেবা না নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে অন্যত্র। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জনবল সঙ্কটে নষ্ট ও অকেজো হয়ে পড়ে আছে চিকিৎসার যন্ত্রপাতি। এ কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ায় ন্যায্য চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ৩১ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ৫০ শয্যার অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে। তবে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও সে তুলনায় কোন বরাদ্দ পাচ্ছে না। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিদিন শত শত রোগী আসে বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য। এ সময় কথা হয় রৌমারী উপজেলার ম-লপাড়া গ্রামে ছলিবর, সুতিরপাড়া গ্রামের শহীদ মিস্ত্রি, হরিণধরা গ্রামের রুহুল আমিনসহ আরও অনেকের সঙ্গে। তারা জানান, চরমভাবে অবহেলিত হয়ে পড়েছে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। পয়ঃনিষ্কাশন ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এক কথায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। উপজেলার এই ৫০ শয্যার হাসপাতালে ১০জন চিকিৎসকের স্থলে রয়েছে ৫জন চিকিৎসক। আর এ ৫জন চিকিৎসক রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। এতে চরমভাবে দুর্ভোগে পড়েছে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। অপারেশন থিয়েটারে সার্জারি এবং এনেস্থেশিয়া কনসালটেন্ট না থাকায় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার দীর্ঘ দিন ধরে চালু করা সম্ভব হয়নি। রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকার অনুমোদিত ১০ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও বর্তমানে ৫ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। স্বাস্থ্য সহকারী ৩২ জনের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ৪ জন। কমিউনিটি উপসহকারী (স্যাকমো) ৬জনের পদ থাকলেও আছেন ৪ জন। নার্স ১৫ জনের মধ্যে আছেন ১০ জন । ওয়ার্ড বয় ৩ জনের মধ্যে একজন আছেন। আয়া তিন জনের পদ থাকলেও আছেন একজন। পরিচ্ছন্ন কর্মী ৫জনের পদ থাকলেও বর্তমানে পদ শূন্য রয়েছে। নাইড গার্ড পদও শূন্য। ল্যাব টেকনিশিয়ারনের তিন জনের পদ থাকলেও রয়েছে শূন্য। এছাড়াও সহকারী সার্জন, গাইনি ও সার্জিক্যাল স্পেশালিস্টের পদ দীর্ঘদিন থেকেই শূন্য রয়েছে। স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পদগুলোতে পর্যাপ্তসংখ্যক জনবল নেই। প্যাথলজি বিভাগ আছে কিন্তু টেকনোলজিস্ট নেই। ফলে রক্ত, মলমূত্র পরীক্ষা করতে রোগীদের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে হয়। দীর্ঘদিন থেকে অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিনটি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। ডেন্টাল ও চক্ষু রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আছে কিন্তু ডাক্তার নেই।
×