ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল গড়তে পারেনি মোহামেডান!

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল  গড়তে পারেনি মোহামেডান!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ স্বল্প বাজেটের কারণে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল গড়তে পারেনি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। নতুন কমিটির নেতৃত্বে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ক্লাবটির। তাই প্রিমিয়ার লীগে ৪-৫ নম্বর স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করতে চায় সাদা-কালোরা। তবে ৫ বিদেশী আর তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে আশাবাদী ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটি। এবার না হলেও আগামী মৌসুমে আরও ভালমানের দল গড়তে আশাবাদী ১৯ বারের লীগ শিরোপাধারীরা। মোহামেডান জৌলুস হারিয়েছে আগেই। গত দশকটা কাটিয়েছে ঐতিহ্যের গল্প শুনিয়ে। আর ক্যাসিনো কা-ে তো টালমাটাল দেশের ফুটবলে অন্যতম জনপ্রিয় এই ক্লাবটি। নতুন করে দায়িত্বে এসেছেন মোহামেডানের সাবেক ফুটবলাররা। আশার কথা শোনাচ্ছেন, ধারাবাহিক উন্নতি চাচ্ছেন। কিছুটা আলোর মুখ দেখেছেন। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইটরা। কিন্তু প্রিমিয়ার লীগ নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছেন না ক্লাব কর্তারা। একমাত্র গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল ছাড়া নেই কোন বড় তারকা। তাই লক্ষ্যটাও লীগে খুব বেশি নয়। মোহামেডান এবার ভালমানের দেশীয় ফুটবলার পায়নি। ফলে এখন দলটি মাঝারিমানের শক্তিতে পরিণত হয়েছে। সাদা কালোরা ডিফেন্স সাজিয়েছে মালির জাতীয় দলের ফুটবলার ওসমান বের্থ, দেশীয় অচেনা আতিকুজ্জামান, সাদেকুজ্জামান, হুমায়ুন, ইমনদের নিয়ে। আছেন নাইজিরিয়ান স্ট্যানলে আমাদি। আর মধ্য মাঠে অনকি, শ্যামল, হাবিব, মিথুন, নাইজিরিয়ান ওগোচুকুয়া আর জাপানিজ নাগাতাদের নিয়ে। ফরোয়ার্ডে একমাত্র বিদেশী সোলায়মান দিয়াবাতে। দেশীয় বাপ্পী আর ওসাই মারমা। দলে কেন নেই বড় কোন তারকা? উত্তরে মিলল অর্থ সঙ্কটের। তাই মৌসুমটা তারা শেষ করতে চায় ৪-৫ এ থেকে। বিগত ফেডারেশন কাপ ফুটবল আসরে দলটি সেমিফাইনাল খেলেছে। ফুটবলের যে বাজেট, এবার তা হয়নি। তাই ফাইনালে যাওয়ার দাবিদারের কথা এবার বলতে পারছে না ক্লাব কর্তারা। এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লীগে শিরোপার স্বাদ পায়নি মোহামেডান। এবারও অবশ্য শিরোপাজয়ের স্বপ্ন দেখছে না তারা। * ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে শিরোপা জিততে চায় শেখ রাসেল ॥ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে এবার ক্লাবগুলো ভাল দল গড়ায় শিরোপা জেতাটা চ্যালেঞ্জিং হবে। ভালমানের বিদেশীদের সঙ্গে তারুণ্যনির্ভর দল গড়ায় চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড। ২০১২ সালের ট্রেবল জয়ীরা এবার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে। প্রস্তুতি ম্যাচে জয় পাওয়ায় আত্মবিশ্বাসী ফুটবলাররাও। আর ফেডারেশন কাপের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ক্লাবের শিরোপা জয়ে ভূমিকা রাখতে চান গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। ২০১২-১৩ মৌসুমে দেশের ফুটবল দেখেছিল নতুন এক পরাশক্তি। আবাহনী-মোহামেডানের একচ্ছত্র আধিপত্য গুঁড়িয়ে দিয়ে নিজেদের জানান দিয়েছিল ‘বেঙ্গল ব্লুজ’ খ্যাত শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ঘরোয়া ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসর বিপিএল, ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপ ... সব আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। ট্রেবল জিতে ফুটবলপাড়ায় আলোড়ন তুলেছিল। পরের মৌসুমে বিপিএলে শিরোপা ধরে রাখতে না পারলেও রানার্সআপ হয়েছিল তারা। তবে গত কয়েক মৌসুম শিরোপার রেসে থাকলেও সাফল্য ধরা দেয়নি রাসেলে। এর পেছনে কারণটা কি? ক্লাব কর্তারা বলছেন, অতীতের চেয়ে এখন ক্লাবগুলোর মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বাড়ার কারণেই শিরোপা জেতা কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে এ মৌসুমে তারুণ্যের শক্তিতে স্বপ্ন দেখছে তারা। এবার রাসেলের আক্রমণভাগ যেকোন দলের জন্যই ভয় ধরিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। আছেন গত মৌসুমের সর্বোচ্চ স্কোরার রাফায়েল। তাকে সঙ্গ দেবেন উজবেক আজিজভ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে খেলতে এসেছেন ব্রাজিলিয়ান পেদ্রো ও অস্ট্রেলিয়ান টিম হার্ড। দেশীয় তকলিস। রক্ষণে এ্যালিসন, উত্তম, মনি, বাবু, সোহেল রানা, রিফাত, মুন্না, উদীয়মান নোলকদের বাধা পেরিয়ে গোল পাওয়া এত সহজ হবে না প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডদের জন্য। মাঝমাঠে হেমন্ত , দিদারুল ও উদীয়মান আব্দুল্লাহর ওপর ভরসা খুঁজছে রাসেল। কা-ারি হিসেবে আছেন সাইফুল বারী টিটু। শিরোপা জয় চ্যালেঞ্জিং হলেও প্রস্তুত এই কোচ। আর দলের যাত্রায় ভূমিকা রাখতে চান জাতীয় দলের গোলরক্ষক রানাও। কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেন, গতবছর তৃতীয় হয়েছিলাম। এবার চেষ্টা থাকবে আরও ভাল করার। এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে। লীগ শুরুর আগে শেখ জামাল ও বারিধারার সঙ্গে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও জিতেছে রাসেল।
×