ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

করোনাভাইরাস ॥ ১০ কোটি ডলার দান করবেন বিল গেটস দম্পতি

প্রকাশিত: ০৭:৪৫, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 করোনাভাইরাস ॥ ১০ কোটি ডলার দান করবেন  বিল গেটস দম্পতি

করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ১০ কোটি ডলার দানের ঘোষণা দিয়েছেন বিল ক্লিনটন দম্পতি। তাদের বিল এ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় এই অর্থ দান করা হবে। নিউইয়র্ক পোস্ট। করোনা ভাইরাস শনাক্ত, ভ্যাকসিনের কাজ এগিয়ে নেয়া, আইসোলেশন এবং চিকিৎসার জন্য এই বিপুল অর্থদানের ঘোষণা দিয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এবং তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস। এই অর্থের মধ্যে দুই কোটি ডলার সরকারী প্রতিষ্ঠান এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগ্যানাইজেশন, সেন্টার্স ফর ডিজেজ কন্ট্রোল এ্যান্ড প্রিভেনশন এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন চীনা প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে। অপরদিকে ৬ কোটি ডলার দেয়া হবে ভ্যাকসিনের কাজ এগিয়ে নেয়া এবং রোগ নির্ণয়ের কাজে। অপরদিকে বাকি দুই কোটি ডলার দান করা হবে সাব সাহারান আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলোতে যারা বিভিন্ন রোগের প্রকোপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চীনের মূল ভূ-খণ্ডের বাইরে এখন পর্যন্ত মারা গেছে অন্তত দুইজন। মঙ্গলবার হংকংয়ে ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রাণ হারান। তিনি কিছুদিন আগেই করোনা ভাইরাসের উৎসস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ফিরেছিলেন। এর আগে, গত সপ্তাহে ফিলিপিন্সে মারা যান উহান ফেরত আরও একজন। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশে প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। মহামারীর আশঙ্কায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই চীন থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়া এ ভাইরাস ঠেকাতে চীন-ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ। বিশ্বের অনেক দেশই ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে চীন থেকে আগতদের অন-এ্যারাইভাল ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বেশিরভাগ এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো চীনগামী ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ব থেকে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চীন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শুরুতে জ্বর ও শুষ্ক কাশি হতে পারে। এর সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। অনেক সময় নিউমোনিয়াও হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা লাগে। তবে এসব লক্ষণ মূলত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই জানা গেছে। সেক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একদম প্রাথমিক লক্ষণ কী বা আদৌ তা বোঝা যায় কি-না তা এখনও অজানা। তবে নতুন এই করোনা ভাইরাস যথেষ্ট বিপজ্জনক। সাধারণ ঠান্ডা-জ্বরের লক্ষণ থেকে এটি মৃত্যুর দুয়ার পর্যন্তও নিয়ে যেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের নাম দিয়েছে ২০১৯ নভেল করোনা ভাইরাস। এর আগে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধকের কাজ এগিয়ে নিতে এবং এর চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য এক কোটি ৪০ লাখ ডলার দান করেছেন বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স সাইট এ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। জ্যাক মার দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে এই বিপুল অর্থ দান করা হচ্ছে। এর মধ্যে চীনা সরকারের দু’টি গবেষণা সংস্থাকে ৫৮ লাখ ডলার দান করা হবে। বাকি অর্থ এই ভাইরাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কার্যক্রমে দান করা হবে।
×