ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সান্তাহারে অতিরিক্ত নেয়া সেচের টাকা ফেরত

প্রকাশিত: ১১:৩২, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সান্তাহারে অতিরিক্ত নেয়া সেচের টাকা ফেরত

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ৫ ফেব্রুয়ারি ॥ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে চলতি ইরি-বোরো চাষ মৌসুমে নির্ধারিত সেচ মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য নেয়ার অভিযোগে এক গভীর নলকূপে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকের রায়ে গভীর নলকূপের পরিচালক কৃষকদের কাছ থেকে নেয়া অতিরিক্ত মূল্য ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে। জানা গেছে, কৃষি কাজে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা/২০১৯ মোতাবেক উপজেলা সেচ কমিটিতে চলতি ইরি-বোরো ধান চাষ মৌসুমে বিদ্যুত চালিত গভীর ও অগভীর নলকূপের সেচ মূল্য নির্ধারিত করা হয়েছে প্রতি বিঘা জমির জন্য ৮১২ টাকা। ২৮ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লা বিন রশিদের সভাপতিত্বে সেচ কমিটির সভায় প্রতি শতক ২৮ টাকা হিসাবে ২৯ শতকের এক বিঘা জমির জন্য ওই সেচ মূল্য নির্ধারিত করা হয়। ওই সভায় আগামী আমন চাষ মৌসুমে প্রতি শতকের সেচ মূল্য ৮ টাকা হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বেশি মূল্য নেয়া হলে সেচ মালিক/পরিচালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এমতাবস্থায় সান্তাহার শহর সংলগ্ন কায়েতপাড়া গ্রামের গভীর নলকূপ ব্যবস্থাপনা কমিটির পরিচালক রাজু আহম্মেদ ৪০ কৃষকের কাছ থেকে প্রতি বিঘায় সাড়ে ৩শ’ টাকা হারে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করেন। পরে ওই কৃষকরা উপজেলা সেচ কমিটির নির্ধারণ করা সেচ মূল্য জানার পর তারা ওই গভীর নলকূপের পরিচালকের কাছে প্রতিবাদ জানায়। এ নিয়ে তুমুল বিবাদ বাধে। কৃষকরা উপজেলা সেচ কমিটির কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কায়েতপাড়া গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। রবিবার বিকেলে পরিচালনা করা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লা বিন রশিদ গভীর নলকূপের পরিচালক রাজু আহম্মেদ কর্তৃক আব্দুল খালেক, তছলিম উদ্দিন, ইলিম উদ্দিন ও রনি হোসেনসহ ৪০ কৃষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত হারে নেয়া সেচ মূল্যের ১৭ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার আদেশ দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করেন। ঘটনাটি উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
×