ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৯:৪৯, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

  আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ বর্তমান সরকার দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে বদ্ধপরিকর। দুর্নীতি, জঙ্গী, সন্ত্রাস, মাদক নির্মূলসহ সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ লক্ষ্যে সন্ত্রাসী, মাদক কারবারিসহ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরপর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মন্ত্রী জানান, দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত ও বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কোন ব্যক্তি/গোষ্ঠী/ দল যাতে গুজব/বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বা সামাজিক স্থিতিশীলতা বিঘিœত করতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া সন্ত্রাসী কর্মকা-ের মদদদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, সন্ত্রাস, জঙ্গী কর্মকা- নির্মূল ও প্রতিরোধে ইতোমধ্যে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট গঠন করা হয়েছে। সিসিটিসি গঠনপূর্বক জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অপরাধী শনাক্ত ও তাদের আইনের আওতায় আনার কার্যক্রম অব্যাহত আছে। কৃষি সেচ মৌসুমে অন্যান্য সময়ের তুলনায় ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত ডিজেলের চাহিদা বেশি থাকে। এই সময়ে সীমান্ত দিয়ে পাচারও হয়ে থাকে। জ্বালানি তেল পাচার রোধে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডসহ সরকারের অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারী দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, কৃষি সেচ মৌসুমে অন্যান্য সময়ের তুলনায় ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত ডিজেলের চাহিদা বেশি থাকে। এই সময়ে সীমান্ত দিয়ে পাচারও হয়ে থাকে। জ্বালানি তেল পাচাররোধে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডসহ সরকারের অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও সেচ মৌসুমে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ডিজেল পাচার প্রতিরোধের জন্য স্থানীয় জনগণের মাঝে প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে বিজিবি কর্তৃক প্রেষণা প্রদান করা হচ্ছে।
×