স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলে গেলেন সর্বকালের ব্যবসা সফল বাংলা চলচ্চিত্র ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র প্রযোজক, আব্বাস উল্লাহ শিকদার (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ির নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আব্বাস উল্লাহ। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৫ বছর। তিনি সিনেমার চাকা সচল রাখতে নিয়মিতভাবেই টাকা লগ্নি করেছেন। নিজে অভিনয়ও করতেন। এই প্রযোজকের বাবা আব্দুল হামিদ ছিলেন বনানী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান। তার নামেই রাজধানীর বনানীতে চেয়ারম্যান বাড়ির নামকরণ করা হয়েছে। আব্বাস উল্লাহ ছিলেন দেশীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আনন্দমেলা চলচ্চিত্রের একজন কর্নধার। মতিউর রহমান পানুর সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতেন তিনি।
তার মৃত্যুতে শোকাহত ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ চলচ্চিত্রের নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনও। আব্বাস উল্লাহ শিকদারকে চলচ্চিত্র ও নিজের সজ্জন দাবি করে কাঞ্চন বলেন, একসন সৎ, উদার মানুষ ছিলেন আব্বাস উল্লাহ ভাই। পয়সাওয়ালা ছিলেন, কিন্তু কোনো অহংকার ছিল না। মানুষকে সম্মান করতেন তিনি। তিনি মেধার মূল্যায়ন করতেন। একজন সুপারস্টারকে যে স্পেসটা দিতেন রাইজিং স্টারকেও সেভাবে সম্মান দিতেন। তাকে দেখেছি বন্ধুর মতো, তাকে পাশে পেয়েছি ভাইয়ের মতো। তার মৃত্যুর খবরে আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি।
চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, আব্বাস উল্লাহ সাহেব শুধু একজন প্রযোজকই ছিলেন না, অনেক ভাল মনের মানুষও ছিলেন। ভাল অভিনেতাও ছিলেন। কমেডি অভিনয় করতে পছন্দ করতেন। আমার অভিনীত অনেকগুলো চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন তিনি। তার মৃত্যুতে ঢাকাই চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি একজন ভাল মনের রুচিশীল প্রযোজককে হারালো।
বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ির জামে মসজিদে রবিবার বাদ জোহর জানাজার পর তাকে বনানীর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। প্রসঙ্গত আনন্দমেলা চলচ্চিত্রের ব্যানারে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘পাগল মন’, ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘জ্বী হুজুর’সহ অনেক দর্শকপ্রিয় ও ব্যবসা সফল বাংলা সিনেমা নির্মিত হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে প্রযোজনার পাশাপাশি অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছেন আব্বাস উল্লাহ। বছর দুই ধরে তিনি শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ ছিলেন।
