ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরের মামুন-মিলন সন্ত্রাসী চক্র দমনে স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

যশোরের মামুন-মিলন সন্ত্রাসী চক্র দমনে স্মারকলিপি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার সেই মামুন-মিলন সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে আবারও স্মারকলিপি দিয়েছেন এলাকাবাসী। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে অতিষ্ঠ হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শতাধিক এলাকাবাসী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন স্মারকলিপি গ্রহণ করে সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, যশোর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্টেডিয়ামপাড়ার বাসিন্দারা পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল হকের ছেলে মামুন ও মিলনসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ। সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ৫ অক্টোবর এলাকাবাসী তৎকালীন পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দেন। পরদিন ৬ অক্টোবর মামুন ও মিলন ১১২ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়। এই মাদক মামলা ছাড়াও দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা রয়েছে। এদিকে, মামুন ও মিলন জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর এবং তৎকালীন পুলিশ সুপার মঈনুল হক বদলি হয়ে যাওয়ার পর দুই ভাইয়ের সন্ত্রাসী চক্র ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এ কারণে এলাকাবাসী নতুন পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১৯ আগস্ট বৃহত্তর স্টেডিয়ামপাড়ায় শান্তি-শৃঙ্খলাবিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৎকালীন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান সন্ত্রাসী চক্রের হোতা দুই ভাই মামুন ও মিলনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এরপর থেকে তারা পলাতক ছিল। ২০১৮ মামুন-মিলন এলাকায় ফিরে এসে ফের সন্ত্রাসী বাহিনীকে চাঙ্গা করে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকা- ও মাদক ব্যবসা শুরু করে। এ সময় তারা স্টেডিয়ামপাড়া মসজিদ সংলগ্ন ৮ শিক্ষকের কাছে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তাদের বাড়ির রাস্তা নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। স্টেডিয়ামপাড়ার মহাতাপ উদ্দিনের কাছ থেকে ২০ হাজার ও রেজাউল মুহুরির কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী ফেরদৌস আহম্মেদ বাবুর কাছে ২ লাখ টাকা, আসাদ হলের পাশে রাস্তা নির্মাণের ঠিকাদার রেজাউল ইসলামের কাছে ৩০ হাজার, বই বিক্রেতা রাজুর কাছে ৮ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ী আতিয়ারকে ছুরিকাঘাত, ব্যবসায়ী মাছুমকে পিস্তল নিয়ে তাড়া করা ও স্টেডিয়ামের নৈশপ্রহরী খোকনের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে চাঁদা দাবি করে। এছাড়া চাঁদাবাজির এমন ২১টি ঘটনা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়। ওই স্মারকলিপির পর মামুন মিলন আটক হলে এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু ওই দুই ভাই আবার ছাড়া পেয়ে এলাকায় ফের সন্ত্রাসী তৎপরতা ও চাঁদাবাজি শুরু করেছে।
×