ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

মতবিনিময়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান

গ্রামীণফোন দু’হাজার কোটি টাকা জমা না দিলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ১০:১৩, ৩ জানুয়ারি ২০২০

 গ্রামীণফোন দু’হাজার  কোটি টাকা জমা  না দিলে ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গ্রামীণফোন তিন মাসের মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা জমা না দিলে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সরঞ্জাম ও প্যাকেজের অনুমোদনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সুপ্রীমকোর্ট গ্রামীণফোনকে দুই হাজার কোটি টাকা জমা দিতে বলেছে। তারা এটা না দিলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় বিটিআরসির কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক এ কথা বলেন। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিটিআরসির কমিশনার (তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা) মোঃ আমিনুল হাসান, মহাপরিচালক (তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শহীদুল আলম, মহাপরিচালক (কারিগরি ও কার্যক্রম) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাহফুজুল করিম মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান বিটিআরসির ২০১৯ সালের কার্যক্রম ও নতুন বছরের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এই অনুষ্ঠানেই তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রামীণফোন কোর্টের নির্দেশ পালন করে আসুক আমরা কোন ব্যবস্থা নেব না। নতুন পদক্ষেপ কি প্রশাসক বসানো হতে পারে এমন এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, আইনে যেসব ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে, সেগুলোই নেয়া হবে। এর বাইরে বিটিআরসি যাবে না। উল্লেখ্য, দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসি ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা পাওনা দাবি করছে। আর দ্বিতীয় বড় অপারেটর রবি আজিয়াটার কাছে দাবি করা হচ্ছে ৮৬৭ কোটি টাকা। এ পাওনার উৎস প্রতিষ্ঠান দুটিতে বিটিআরসির চালানো নিরীক্ষা। গ্রামীণফোনের ওপর নিরীক্ষা করা হয় ১৯৯৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত। আর রবির ওপর নিরীক্ষা করা হয় ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত। বিটিআরসি বলছে, রাজস্ব ভাগাভাগি, করসহ বিভিন্ন খাতে এ টাকা ফাঁকি দিয়েছে অপারেটর দুটি। অবশ্য শুরু থেকেই গ্রামীণফোন ও রবি নিরীক্ষার দাবির বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে আসছে। তারা চায়, সালিশের মাধ্যমে পাওনার বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হোক। যদিও বিটিআরসি বলে আসছে, তাদের আইনে সালিশের সুযোগ নেই। পাওনা আদায়ে ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়া, প্যাকেজ ও সরঞ্জাম আমদানির অনুমোদন বন্ধ করার পরও সাড়া না পেয়ে বিটিআরসি অপারেটর দু’টিকে লাইসেন্স বাতিলের কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়। এ নিয়ে আদালতে যায় গ্রামীণফোন ও রবি। গ্রামীণফোনের আবেদনের পর হাইকোর্ট বিটিআরসির পদক্ষেপের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। পরে গত ২৪ নবেম্বর সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ বলেছে, গ্রামীণফোনকে তিন মাসের মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
×