ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

সীমানা নিয়ে পাল্টা মামলা

নাটোরে দুই মাস সড়কে কাজ বন্ধ ॥ চরম দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ২৬ নভেম্বর ২০১৯

নাটোরে দুই মাস সড়কে কাজ বন্ধ ॥ চরম দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ২৫ নবেম্বর ॥ বক্স করে কাটা রাস্তায় বালু ফেলে রাখা হয়েছে। রাস্তার সীমানা প্রাচীর নিয়ে বিরোধের জেরে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের কারণে রাস্তার কাজ দুই মাস ধরে বন্ধ। ফলে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের কুশমাইল গ্রামসহ আশপাশের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। রাস্তার প্রকৃত জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা দিয়ে রাস্তার কাজ শুরু করায় সৃষ্ট এই ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ চান আশপাশের হাজার হাজার মানুষ। এদিকে, রাস্তার কাজ ঠিক কবে থেকে শুরু করা হবে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট অধিদফতর। বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রহিম জানান, রাস্তাটির কাজ বন্ধ থাকায় জনসাধারণের ভোগান্তি বেড়েছে। তবে অচিরেই রাস্তার কাজ শুরু করা হবে। কারও ব্যক্তিগত জায়গায় নয়, রাস্তার জায়গাতেই রাস্তা হবে। সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার জোনাইল-রাজাপুর সড়কের কুশমাইল নাসির মোড় থেকে সংগ্রামপুরগামী আলাদা একটি কাঁচা রাস্তা রয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাস্তাটি পাকা করার কাজ শুরু করে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। কিন্তু রাস্তার কাজ চলাকালে কুশমাইল মৌজার নাসির মোড় এলাকায় মৌজার ১৪০ হালদাগে প্রায় চার শতক জমি নিজের বলে দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মজিদ আকন্দ। আগে না জানলেও রাস্তার কাজ শুরুর পরে তিনি জানতে পারেন, তার ব্যক্তি মালিকাধীন জায়গার ওপর দিয়ে রাস্তার কাজ চলছে। ইউনিয়ন পরিষদের মাপজরিপে নাসির মোড় থেকে রাস্তার শুরুতে চার শতক জায়গা প্রাপ্ত হন আব্দুল মজিদ। অন্যদিকে রাস্তার প্রকৃত জায়গা স্থানীয় আনোয়ার হোসেন ও আমজাদ হোসেনের দখলে রয়েছে বলে জানায় জরিপকারীরা। আব্দুল মজিদ দখল হওয়া জমির ওপর দিয়ে রাস্তা করার অনুরোধ করলেও তা মানেননি ঠিকাদার। রাস্তার প্রকৃত জায়গার ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের আবেদন করে উপজেলা প্রকৌশলীকে বিবাদী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন আব্দুল মজিদ। অপর দু’জন আদালতে পৃথক মামলা দায়ের করেন। এদিকে রাস্তার কাজ বন্ধ থাকায় পথচারী, অটোভ্যান, চার্জার ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ অন্য যান চলাচলে তীব্র ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কুশমাইলসহ আশপাশের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এ বিষয়ে একাধিক ভ্যানচালক জানান, আমরা ভ্যান চালিয়ে কোন রকমে সংসার চালাই। কিন্তু জমি নিয়ে বিরোধে রাস্তার কাজ বন্ধ থাকায় ভ্যান চলাচলে চরম বিপাকে পড়েছি। দ্রুত সঠিক জায়গা চিহ্নিত করে রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি জানান তারা। ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বাবু জানান, আগে ভ্যান-ভটভটিতে করে বাড়িতে মালপত্র আনা নেয়া করতাম। কিন্তু রাস্তা কেটে বালু ফেলে রেখে কাজ বন্ধ থাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মালপত্র আনা নেয়া যাচ্ছে না।
×