ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

দিনাজপুরে যৌতুকের বলি গৃহবধূ

প্রকাশিত: ০৯:০৩, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

দিনাজপুরে যৌতুকের বলি গৃহবধূ

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ কাহারোলে যৌতুকের জন্য আঁখি মনি (১৮) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি ও জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুরুতর অবস্থায় গৃহবধূ আখি মনিকে পার্শ্ববর্তী বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত আঁখি জেলার বিরল উপজেলার মাহাতাবপুর মঙ্গলপুর গ্রামের আব্বাস আলীর কন্যা। নিহতের পরিবারের অভিযোগে জানা যায়, ২ বছর পূর্বে বাড়ি থেকে পালিয়ে কাহারোল উপজেলার বাইজপুর লোহারগাঁও গ্রামের এনামুল হকের ছেলে রমজান আলীকে বিয়ে করেন আঁখি মনি। বিয়ের পর থেকেই ৮০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে আঁখি মনিকে নির্যাতন করে আসছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বৃহস্পতিবার যৌতুকের জন্য শাশুড়ি আনজু আরা, শ্বশুর এনামুল হক ও স্বামী রমজান আলী মিলে আঁখি মনিকে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে আঁখি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে, তারা আঁখির মুখে বিষ ঢেলে দেয়। বিষয়টি এলাকার লোকজন জানতে পারলে তারা প্রচার করে, আঁখি পেটে ব্যথা সহ্য করতে না পেরে বিষপান করেছে। সাভারে গৃহবধূ সংবাদদাতা সাভার থেকে জানান, সাভারে কঙ্কন রানী দাস (২৯ ) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয় । নিহত কঙ্কন রানী দাস সুনামগঞ্জের কাদির থানার শালা গ্রামের শুকান্ত দাসের স্ত্রী। তারা পরিবারসহ সাভারে ভাড়া বাসয় বসবাস করতেন । পুলিশ জানায়, বিয়ের পর থেকে কঙ্কন ও শুকান্ত দম্পতির মধ্যে পারিবারিক কহলের জেরে প্রায়ই সময় ঝগড়া হতো। মাঝে মধ্যেই শুকান্ত তার স্ত্রী কঙ্কনকে মারধর করতেন। গত রবিবার ওই দম্পতির মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। সেই ঝগড়ার জেরে স্বামী শুকান্ত তার স্ত্রী কঙ্কনকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পরে তার স্ত্রী মারাত্মকভাবে জখম হয়। সেই ঘটনার পর হঠাৎ কঙ্কন রানী বিষ খেয়েছে বলে জানান তার স্বামী শুকান্ত। পরে তাকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে এবং শুক্রবার চিকিৎসারত তার মৃত্যু হয় । নাটোরে স্কুলছাত্র নিজস্ব সংবাদদাতা নাটোর থেকে জানান, গুরুদাসপুরে পুকুর থেকে আল আমিন (৯) নামের ৩য় শ্রেণীর এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের তেলটুপি পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে ওই স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আল আমিন একই গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে ও মকিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণীর ছাত্র। জানা যায়, আল আমিন বৃহস্পতিবার ১২টার দিকে বিদ্যালয় থেকে ফিরে মাঠে কর্মরত বাবার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তার কোন খোঁজখবর পাচ্ছিল না তার পরিবার। বৃহস্পতিবার রাত দুটার দিকে বাড়ির পাশের পুকুরে জেলেরা জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় আল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে। ভেড়ামারায় অজ্ঞাত লাশ নিজস্ব সংবাদদাতা কুষ্টিয়া থেকে জানান, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৫০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হার্ডিঞ্জব্রিজ সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা খবির উদ্দিন জানান, হার্ডিঞ্জব্রিজ সংলগ্ন পদ্মা নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ভেড়ামারা থানা পুলিশ অজ্ঞাত লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সন্তানের জননী স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, সদর উপজেলার কালিসীমা গ্রাম থেকে সুরমা বেগম (২৫) নামের এক সন্তানের জননীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে গ্রামের একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুরমা ওই এলাকার কৃষক মমিন মিয়ার স্ত্রী। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সকালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় সুরমা বেগম। কয়েকঘণ্টা পর বাড়ির পাশের পুকুরে তার লাশ ভেসে ওঠে। স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
×