ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

দিনে গড়ে ৪০ যানের বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জে সড়কে প্রতিনিয়ত ঝরছে প্রাণ

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

  নারায়ণগঞ্জে সড়কে প্রতিনিয়ত ঝরছে প্রাণ

মোঃ খলিলুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ ॥ প্রাচ্যের ডান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জের সড়ক-মহাসড়কে প্রতিনিয়ত কেড়ে নিচ্ছে প্রাণ। এ জেলার শহর, থানা, উপজেলা ও ইউনিয়ন এলাকার আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, অদক্ষ চালক, যানবাহন বৈধ কাগজপত্র বিহীন চলাচল, চালক ও হেলপারের খামখেয়ালিপনা ও জনগণের অসচেতনতাসহ নানা কারণে এখানকার সড়ক ও মহাসড়কগুলো এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল প্রতিনিয়তই লম্বা হচ্ছে। এ মিছিলে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে বিভিন্ন পেশার হতভাগ্য অসহায় মানুষ। বাদ পড়ছেন না শিক্ষার্থী, ডাক্তার, সাংবাদিক ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরাও। সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার অভিশাপ থেকে মুক্তি মিলছে না অসহায় ভুক্তভোগী পরিবারের। অথচ সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে কেউ এগিয়েও আসছে না। নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন কারণে প্রতিদিন গড়ে ৩০-৪০ যানের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। নারায়ণগঞ্জে ১৮টি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা যায়, রাজধানীর ঢাকার সীমান্তবর্তী পূর্ব-দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ জেলার অবস্থান। এ জেলার উপজেলা ও থানা আওতাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা বাইপাস সড়ক, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্করোড, ঢাকা-পাগলা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সড়ক, নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-ডেমরা সড়ক, মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়ক, ঢাকা-সোনারগাঁও, ঢাকা-রূপগঞ্জ (মুড়াপাড়া), ঢাকা-আড়াইহাজার, ঢাকা-গোপালদী সড়কসহ অসংখ্য আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে। গত জুলাই/২০১৯ ও আগস্ট/২০১৯ মাসে সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। সর্বশেষ গত ৩১ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ট্রাক চাপায় সাফায়াত (১১) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। গত ২৪ আগস্ট ও ২৩ আগস্ট রাতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও সিদ্ধিরগঞ্জে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় রিক্সাচালক আলী আজগর (৩৫) ও অজ্ঞাতনামা যুবক (২৬) নিহত ও ১০ জন আহত হয়। ১৭ আগস্ট রূপগঞ্জের কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোডের ভোলানাথপুর এলাকায় প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ইব্রাহিম সরকার (৩৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ও অপর ৬ জন আহত হয়। ১১ আগস্ট রূপগঞ্জের কালাদি এলাকায় এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য সায়মন ইসলাম দুর্জয় ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী শিপন চন্দ্র দাস নিহত হয়। ৭ আগস্ট রূপগঞ্জ-চনপাড়া-ইছাখালী সড়কের বড়ালু পাড়াগাঁও এলাকায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মনিরুজ্জামান মনির (৫৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। গত ২৩ জুলাই রূপগঞ্জের বরাব এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পিকআপভ্যানের সঙ্গে নসিমনের সংঘর্ষে রাব্বী, আসাদুজ্জামান ও জাহাঙ্গীর নামে তিনজন নিহত হয়। ১৯ জুলাই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের তারাব এলাকায় মালবাহী দুটি পিকআপভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে চন্ডিসেন (৪৫) নামে এক মাছ ব্যবসায়ী নিহত হয়। এ ঘটনায় আরও ৩ জন আহত হয়। ৭ জুলাই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোডের ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় বন্ধন পরিবহনের চাপায় নুর ইসলাম বাদল (২০) নামে এক মোটরসাইলে আরোহী নিহত হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী একটি বন্ধন পরিবহনের বাসে আগুনে ও বাস ভাংচুর করায়। ৪ জুলাই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাস চাপায় মা সঙ্গীতা রানী বর্মন (৩৫), মেয়ে বর্ষা রানী বর্মন (১৯) ও শাশুড়ি দেবী বর্মন (৫৫) সহ একই পরিবারের ৩ জন নিহত ও একই ঘটনায় ৮ আহত হয়। গত ২ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর এলাকায় প্রশান্ত (২৪) নামে এক যুবক বাসের চাপায় নিহত হয়। ২ জুলাই এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের বন্দরের মদনপুর এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় বাসের চাপায় মাজেদা বেগম (৬০) নামে এক ব্দ্ধৃা নিহত হয়। ১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-ডেমরা সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের ঈদগাহ এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার সঙ্গে শ্রমিক পরিবহনের বাসের সংঘর্ষে বাবুল মিয়া (৬০) নামে এক অটোচালক নিহত হয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসী এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। ১১ জুন মদনপুর-ভুলতা- জয়দেবপুর সড়কের সোনারগাঁয়ের বরইবাড়ি এলাকায় গরুবাহী ট্রাকের সঙ্গে কাভার্ডভ্যানে সংঘর্ষে মোবারবক হোসেন (২২) নামে এক কাভার্ডভ্যান চালক নিহত হয়। এভাবেই বেড়েছে বহু সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনার মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিচ্ছে নানা পেশার মানুষ। অথচ সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে কেউ এগিয়ে আসছে না। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিবারের সদস্যরা। ১৮টি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত নারায়ণগঞ্জে ১৮টি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা রয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাদের মতে দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানগুলো হলো- শহরের চাষাঢ়া মোড়, পঞ্চবটি, ইসদাইর, শিবু মার্কেট, জালকুড়ি, ভূইঘর, সাইনবোর্ড, সানারপাড়, শিমরাইল, আদমজী, কাঁচপুর, তারাব বিশ্বরোড, বরপা, ভুলতা, গাউছিয়া, গোলাকান্দাইল, আধুরীয়া, সাওঘাট সিএনজি পাম্প ও কাঞ্চন বাজার। সড়ক-মহাসড়কে কেড়ে নিচ্ছে শিক্ষার্থী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের জীবন। প্রতিদিন গড়ে ৩০-৪০ যানের বিরুদ্ধে মামলা ॥ নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের টিআই মোঃ সাইফুল্লাহ রোমান জানায়, নারায়ণগঞ্জে যানবাহনের অবৈধ পার্কিং, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, গাড়ির ত্রুটি, অবৈধ ওভার লোডিং, উল্টোপথে চলাচল ও কাগজপত্র ঠিক না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০-৪০টি মামলা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জরিমানা করা হচ্ছে ১শ’ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তিনি আরও জানান, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস রাস্তায় চলাচলের সময় রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেন, ইন্স্যুরেন্স, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। অপরদিকে মোটরসাইকেল হলে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেন, ইন্স্যুরেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। বাস-মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ গণপরিবহনে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, রুট পারমিট, ট্যাক্স টোকেন, ইন্স্যুরেন্স, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স অবশ্যই থাকতে হবে। তিনি বলেন, রাস্তার ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, চালকের ত্রুটি কারণে, জনগণের অসচেতনতা, ইঞ্জিনিয়ারিং কারণ যেমন যেভাবে রাস্তা তৈরি করার কথা সেভাবে হয়নি, যেভাবে টার্নিং হওয়ার কথা সেভাবে হয়নি এসব কারণসহ বিভিন্ন কারণেই সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। এছাড়াও যেখানে জেব্রা ক্রসিং, গতিরোধ, ফুটওভারব্রিজ থানা থাকার কারণেও সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট এবি সিদ্দিক বলেন, নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশেই দিনদিন সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। পরিবহন চালক ও হেলপাররা ট্রাফিক আইন মানে না। ফিটনেস ছাড়াই যানবাহন চলাচল যানহনের ফিটসেন নেই। পুলিশও নিয়ম অমান্য করে, চালকও নিয়ম মানে না। হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো হয়। হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো, আইন মানা হয় না, ট্রাফিক পুলিশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করে না এ তিনটি কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। তিনি আরও জানান, নারায়ণগঞ্জ শহরে ২নং রেলগেট ও চাষাঢ়ায় ত্রিমুখী ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন। দু’টি স্থানে ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে আবেদন জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের মতো জায়গায় ট্রাফিক সিগন্যাল নেই এটা অত্যন্ত দুঃখের কথা। ট্রাফিক সিগন্যাল, ফুটওভার ব্রিজ, জনগণের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, পুলিশের যথাযথ দায়িত্ব পালন করা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ রাস্তা দিলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে। সোনারগাঁয়ের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নারায়ণগঞ্জে অনেক যানবাহনেরই কোন বৈধ কাগজপত্রই নেই তবুও চলছে রাস্তায়। এখানকার অনেক যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় অনেক যানবাহন সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। ইদানীং বিভিন্ন সড়কে অদক্ষ ও প্রাপ্ত বয়স ছাড়াই ড্রাইভিং করতে দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, শিমরাইল থেকে প্রতিদিন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বিভিন্ন রুটে কম করে হলেও ৫শ’ গাড়ি চলাচল করে থাকে। যে কারণে কেড়ে নিচ্ছে তাজা প্রাণ ॥ সরেজমিন অনুসন্ধনকালে বিভিন্ন পেশার লোকজন সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে জানান, ওভারটেকিং, পাল্টাপাল্টি প্রতিযোগিতা, অদক্ষ চালক, ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতি, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, বাসস্ট্যান্ডগুলোতে রাস্তা পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ না থাকা, জেব্রা ক্রসিং না থাকা, পরিকল্পিতভাবে গতিরোধ না থাকা, যানবাহনের হেড লাইন, বেগ লাইট ছাড়াই চলাচল, লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহন চলাচল, এখনও মহাসড়কে কোন স্থানে লেগুনা, সিএনজিসহ ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চলাচলসহ বিভিন্ন কারণেই সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। নারায়ণগঞ্জে সড়ক ও মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহনের নম্বর প্লেট, হেড লাইট ও বেগ লাইট ছাড়াও চালানো হচ্ছে। অবশ্য এক ট্রাফিক পুলিশ বলছে, গাড়ির সামনে ও পেছনে নম্বর প্লেট লাগানো বাধ্যতামূলক। এছাড়াও হেড লাইট, বেগ লাইন ও ইন্ডিকেটর লাইট অব্যশই থাকতে হবে। কাঁচপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ওহাব মিয়া জানায়, কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডটি অত্যন্ত ব্যস্ততম একটি বাসস্ট্যান্ড। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর পয়েন্ট থেকেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক শুরু হয়েছে। অদ্যাবধি যাত্রীদের জন্য তৈরি করা হয়নি যাত্রী ছাউনী। ফলে যাত্রীরা যাত্রী ছাউনী না থাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকায় যাত্রীরা সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে মৃত্যু বরণ করছে। সাইনবোর্ড এলাকার আব্দুর রাজ্জাক জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পার হচ্ছে। এতে অনেকেই সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হতাহত হচ্ছেন। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের দুঃখের সীমা থাকে না। মদনপুরের বাসিন্দা সুলতান মিয়া জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে থেকে ঢাকা বাইপাস সড়ক (মদনপুর-ভুলতা-গাজীপুর সড়ক) ও মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়ক শুরু হয়েছে। তাই বাসস্ট্যান্ডটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখানে পথচারীদের জন্য ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করা হয়নি। ফলে রাস্তা পার হতে গিয়ে অনেকেই সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। ইদানীং এখানকার সড়ক ও মহাসড়কগুলো মৃত্যুফাঁদের পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোঃ সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, ট্রাফিক পুলিশ অবশ্য তাদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করছে। কোন ট্রাফিক বিভাগের সদস্যের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, অনেক স্থানে ফুটওভারব্রিজের জন্যও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় একটি ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ করা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে।
×