ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুরে রেলের জমি বন্দোবস্তের দাবি

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 সৈয়দপুরে রেলের জমি বন্দোবস্তের দাবি

সংবাদদাতা, সৈয়দপুর, নীলফামারী, ৪ সেপ্টেম্বর ॥ সৈয়দপুরে রেলওয়ে জমিতে ‘উচ্ছেদ নয়, বরাদ্দ-বন্দোবস্ত চাই’ এ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় শহরের রেলওয়ে পুলিশ ক্লাবে রেলওয়ের জমিতে বসবাসকারীদের ‘অধিকার’ নামে এক সংগঠন এ সম্মেলন করে। এ সময় সংগঠনটির সকল সদস্য ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে বক্তারা বলেন, উচ্ছেদে দ্বিতীয় দফা গণবিজ্ঞপ্তি জারিতে সৈয়দপুর শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ এ শহরের প্রায় ৭০ শতাংশ জমিই রেলওয়ের। যে জমিগুলো রেলওয়ের কোন কাজে আসে না। এখান থেকে কিছু জমি রেল বিভাগ থেকে লিজ নিয়ে আবার কেউ বাঁচার জন্য ঘর তুলে বসবাস করছেন। এতে বিশাল জনগোষ্ঠীর মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। এভাবে এ শহরের যুগের পর যুগ প্রায় ৮০ হাজার মানুষের সংসার জীবন কাটছে রেলের এ ভূমিতে। এখন বিশাল এ সংখ্যক মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। এ প্রশ্নে রেলওয়ের ভূমিতে সকল বসতকারীরা বিহ্বল হয়ে পড়েছেন। তাই সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বসতবাড়ি রক্ষার আকুল আবেদন জানান তারা। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হাজি তসলিম বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী মায়ানমারের ১১ লাখ নির্যাতিত মানুষকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বমানবতার অন্যন্য নজির স্থাপন করেছেন। আমরা রেলওয়ের পরিত্যক্ত ও অপ্রয়োজনীয় জায়গায় বাস করে কয়েক পুরুষ পার করেছি। আজ আমরা কোথায় যাব। তাই ভূমিহীনদের উচ্ছেদ না করে সহজ বরাদ্দ বন্দোবস্ত ব্যবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংগঠনের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন বলেন, বর্তমান সরকার দেশে বসত গড়ে দিচ্ছেন। বাস্তুচুত্য নয়। তবে রেলওয়ের কোয়াটারসহ অন্যন্য স্থাপনা যারা বে-দখল নিয়েছে তাদেরকে উচ্ছেদে আমরা সহায়তা করব। রেলের যেসব জমি প্রয়োজন নেই, পাশাপাশি রেলওয়ে ভূমি নীতিমালায় বাণিজ্যিক, কৃষি, মৎস্য, নার্সারি, রিফুয়েলিং স্টেশনসহ বিভিন্ন শ্রেণী বিভক্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে টোকেন ফি নির্ধারণের মাধ্যমে বরাদ্দ প্রদানের কথা ২০০৬ সালের রেলওয়ে ভূমির নীতিমালা রয়েছে। তবে আবাসিক কাজে ব্যবহারের নীতিমালায় রাখা হয়নি। তাই সহজ পদ্ধতিতে বরাদ্দ ব্যবস্থা করলে দীর্ঘদিনের এ সমস্যা দ্রুতই সমাধান হবে।
×