ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডিপার্টমেন্ট অব ইনোভেশন এ্যান্ড এন্ট্রিপ্রিনিউরশিপ

প্রকাশিত: ১২:১২, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ডিপার্টমেন্ট অব ইনোভেশন এ্যান্ড এন্ট্রিপ্রিনিউরশিপ

মোঃ সাইফুল ইসলাম খান সমগ্র বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্য আগের চেয়ে ক্রমশ প্রতিযোগিতামূলক হয়ে পড়েছে। এ প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে প্রত্যেক মানুষের অন্তর্লীন সত্তায় যে উদ্ভাবনী শক্তি লুকায়িত রয়েছে তা নাড়া দেয়া প্রয়োজন। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ৪৬ মিলিয়ন লোক শ্রম বাজারে কাজের জন্য অনুপ্রবেশ করলেও এদের একাংশ কিন্তু কাজ পায় না। এদেশে প্রতিবছর শ্রম বাজারে ২.০ মিলিয়ন লোক কর্মসংস্থানের জন্য প্রবেশ করলেও ০.৫ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থান হয়। সবাই বিল গেটস নন। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণ তেমন কার্যকর নয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশে যেভাবে ২০২১সালের আগেই মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে সে ক্ষেত্রে শিক্ষিত বেকার যেন সমাজের বোঝা না হয় সে জন্যই এ পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। কেননা শ্রম বাজারে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে না পারলে তা দেশের বিকাশমান অর্থনৈতিক গতি প্রবাহকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এ জন্যই নতুন উদ্যোক্তা শ্রণী তৈরি করতে হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ডিপার্টমেন্ট অব এন্ট্রিপ্রিনিউরশিপ ¯িপ্রং সেমিস্টার -২০১৫ থেকে চালু হয়েছে। চার বছর মেয়াদী এ প্রোগ্রামটি ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত। এ পাঠ্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশী-বিদেশী শিক্ষকদের একটি প্যানেল কাজ করেছে। পাশাপাশি দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তারাও এ পাঠ্যক্রমের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। দেশী উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছেন ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খানসহ অনেকেই। এ পাঠ্যক্রমটি পরিচালনার জন্য ক্যাম্পাসে ইনকিউবেটর স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটেল লিমিটেড, ড্যাফোডিল স্টার্ট আপ মার্কেট যেখানে উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটাবে সেটি স্থাপন করা হয়েছে হাতে-কলমে শিক্ষার জন্য। আবার আইএমএসএমই ফাউন্ডেশন ইন বাংলাদেশের সদস্য-সদস্যা যারা ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তাদের সঙ্গে শিক্ষানবিস উদ্যোক্তাদের সাহচার্য পাবেন যা তাদের ভবিষ্যত জীবনকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। বিদেশে শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা পাঠ্যক্রমের আওতায় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক পুঁজি ও নেটওয়ার্কিংয়ের বিশেষ সুযোগ সঞ্চারিত হবে। প্রায় তিন/চারশ’ বছর আগে যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করত ঞযবড়ষড়মু তে। অথচ আজ থিওলজি পড়ে এমন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা খুবই নগণ্য। এদিকে দু’শ’ বছর আগে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অধ্যয়নের কথা আনেকেই ভাবতে পারত না। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় ঊীঢ়বৎঃ তৈরি হচ্ছে। এমনকি অর্থনীতি চর্চার ক্ষেত্রেও আলাদা আলাদা ফিল্ড রয়েছে যেমন সামষ্টিক অর্থনীতিবিদ, কৃষি অর্থনীতিবিদ, আর্থিক অর্থনীতিবিদ, নগর উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ, বাণিজ্য অর্থনীতিবিদ, শিল্প অর্থনীতিবিদ, গ্রামীণ অর্থনীতিবিদ প্রভৃতি। আবার দেড়শ’ বছর আগে প্রকৌশলী পড়ার কথা বিবেচিত হতো উদ্ভাবনী শক্তি হিসেবে। ষাট বছর আগে খুব কম লোকেই কম্পিউটার সায়েন্স পড়ার কথা ভাবত। আর এখন কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার পাশাপাশি হার্ডওয়্যার, নেটওয়্যার, সফটওয়্যার এমনকি মাল্টিমিডিয়ার ওপর চার বছর মেয়াদী প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। আসলে গধৎশবঃ উৎরাবহ ঋড়ৎপব দ্বারা নির্ধারিত হয় শিক্ষার নতুন নতুন পাঠ্যক্রম এবং পুরনো পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন, সংযোজন ও বিয়োজন। যোগাযোগ: ৪/২ সোবাহানবাগ, মিরপুর রোড, ধানম-ি, ঢাকা। ফোন: ৯১২৮৭০৫, ০১৭১৩৪৯৩০৫০।
×