ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাঙালী জাতি বঙ্গবন্ধুর কাছে অসীম ঋণে আবদ্ধ

প্রকাশিত: ১০:০৬, ২০ আগস্ট ২০১৯

 বাঙালী জাতি বঙ্গবন্ধুর কাছে অসীম ঋণে আবদ্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ‘ক্ষমতার চেয়ে জনগণের সেবা ও জনগণের পক্ষে কথা বলাকে ভালবেসেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু চাইলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন; কিন্তু তিনি তা না হয়ে বাঙালী জাতির স্বাধীনতা চেয়েছেন। বাঙালী বঙ্গবন্ধুর কাছে অসীম ঋণে আবদ্ধ। তাঁর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে জাতির পিতার রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে।’ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার নৌ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন, নৌ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদ প্রমুখ। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জাতির পিতা সারাবিশ্বের মানবতাবাদী ও শোষিতের পক্ষের নেতা ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বগুণে বাংলাদেশ থেকে মিত্র বাহিনীর সৈন্যরাও চলে যায়। কোন যুদ্ধ নয়; ইরাকের হুমকির মুখে সৌদি আরবে মার্কিন সৈন্যরা আসে। কিন্তু এখনও সেখান থেকে মার্কিন সৈন্য যায়নি। তিনি বলেন, জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেই শেষ করেননি। তাঁর সময়েই ১১৬ রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। চীন ও আরবের কিছু দেশ জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল জিয়াউর রহমান তাদের মন্ত্রী বানিয়েছিল। জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে তার রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, জাতির পিতা ক্ষমতার চেয়ে জনসেবা ও জনগণের পক্ষে আন্দোলনকে ভালবেসেছেন। একাত্তরে প্রমাণ হয়েছে জাতির পিতা চাইলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন; কিন্তু তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা সংবিধানের চার মূলমন্ত্রের মধ্যে সমাজতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তিনি সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন। ঠিক ওই সময়েই ঘাতকেরা জাতির জনককে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা আমাদের মাঝে আছে। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে অনেক দূর এগিয়ে এনেছেন। বৈষম্যহীন ও অসাম্প্র্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হবে। কারণ বাঙালী বঙ্গবন্ধুর কাছে অসীম ঋণে আবদ্ধ। মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতার হত্যায় দেশের সবচেয়ে বড় গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল; তাদের সম্পৃক্ততা ছিল। জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে এ সেক্টর কমান্ডার বলেন, ২৩ মার্চ জিয়াকে অনুরোধ করার পরও ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে জিয়া কক্সবাজারের দিকে চলে যায়। সে আশেপাশে থাকলে পাকিস্তানী সেনারা বাঙালী সৈনিকদের মারতে পারত না। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, রক্ত দিয়ে হলেও এ দেশের মানুষের ঋণ শোধ করবেন। তিনি আমাদের ঋণ শোধ করেন নাই, আমাদের ঋণী করে গেছেন। সমগ্র জাতি বঙ্গবন্ধুর কাছে ঋণী। বঙ্গবন্ধুর ঋণ আমরা কখনোই শোধ করতে পারব না কিন্তু তাঁর স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব। তিনি বলেন, আজকে একটি জার্নালে দেখলাম দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ এক নম্বরে রয়েছে। সেখানে পাকিস্তান অনেক নিচে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের যে অর্জন হয়েছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য সকলকেই কাজ করতে হবে।
×