ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করতে হবে ॥ ভূমিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:২৮, ১৯ আগস্ট ২০১৯

 জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করতে হবে ॥ ভূমিমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতার আদর্শকে আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে। ১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। জাতির পিতার স্বপ্ন -ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে আমাদের সবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রবিবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ একটি দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল যার নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি তার সারা জীবন আমাদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে উৎসর্গ করেছেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের দায়িত্ব নেবার সময় এ দেশ সম্পূণরূপে বিধ্বস্ত ছিল। এমনকি ওই সময় বিদেশী অনেকেই বাংলাদেশকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করত; বলত এ দেশ টিকবে না। সেই দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ - মন্ত্রী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টে আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বে আঘাত এসেছিল। জাতি হিসেবে আমাদের ওপর এ ঘটনা একটি কলঙ্ক , যা কখনও মোচন হবে না। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যেভাবে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তা থমকে দাঁড়ায় ১৯৭৫ সালে। তিনি যে স্বপ্ন দেখে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন তা পূরণ করতে; তথা দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর ব্রত নিয়ে তার কন্যা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ১৯৯৬ সালে দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পান, এর পরের পাঁচ বছর ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্বর্ণযুগ। মন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সাল হতে প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে। এ তিন মেয়াদে বাংলাদেশের যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। সকল পর্যায়ে মৌলিক চাহিদা পূরণ করে সফলতা অর্জন করার সঙ্গে সঙ্গে, সামগ্রিক অর্থনীতিতে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার জন্য বিশ্বে বাংলাদেশ আজ একটি রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। স্থিতিশীল সরকার থাকার ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৭.৯ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে (এডিবি রিপোর্ট)। ভূমী মন্ত্রণালয়ের গণমুখী কাজের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে মন্ত্রী গুচ্ছগ্রাম ও ভূমিহীনদের জমি প্রদানের বিষয়গুলো উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পরেই সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু দেশে জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনার গোড়াপত্তন করেন। তিনি পরিবারপ্রতি জমি মালিকানার সর্বোচ্চ সীমা ৩৭৫ বিঘা থেকে কমিয়ে ১০০ বিঘা নির্ধারণ করেন, ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান করেন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন ও দেশব্যাপী ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষিজমি খাজনা মকুফ করাসহ ভূমি ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম শুরু করেন।
×